এই প্রকল্পের উদ্দেশ্যহল শুধু বিদ্যুদয়নই নয়, একটা গ্রামে রান্নার জ্বালানির সংস্থান-সহ মোট শক্তির চাহিদা পূরণ করা। যে সব প্রত্যন্ত গ্রাম বা জনবসতি এই ধরনের চাহিদা মেটানোর জন্য গ্রিডে বিদ্যুৎ পাঠানো সম্ভব নয়, সে সব জায়গার প্রতিটি বাড়ির শক্তির চাহিদা অপ্রচলিত শক্তি উৎসের সাহায্যে মেটানোর ব্যবস্থা করা।
গ্রাম শক্তি সুরক্ষা কর্মসূচি পরিকল্পনার সময় গ্রামের আর্থ-কারিগরি মাপকাঠির দিকে দৃষ্টি রাখা হয়, অভিজ্ঞতার বিষয়টিও গুরুত্ব দেওয়া হয়, স্থানীয় গোষ্ঠীকে এ ব্যাপারে উৎসাহিত করা হয় এবং সংগঠনগত বিষয়গুলির নিষ্পত্তি করার ব্যবস্থা করা হয়।
এই প্রকল্প অ-বিদ্যুদয়িত প্রত্যন্ত গ্রাম ও জনবসতির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। প্রচলিত পদ্ধতিতে যে সব জায়গায় বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব নয়, সে সব জায়গাতেই প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পটি পঞ্চায়েতের অধীনে বন দফতর, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, ব্যক্তিগত উদ্যোগী, ফ্র্যাঞ্চাইজি, সমবায়, ডিআরডিএ-র মতো রূপায়ণকারী সংস্থা প্রকল্প রূপায়ণ করে।
গ্রামীণ বিদ্যুদায়ন দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক বিকাশের জন্য খুবই জরুরি। গ্রামে সম্পদের ব্যবহারকে পূর্ণ মাত্রায় অর্থনৈতিক কাজে বিনিয়োজিত করার জন্য বিদ্যুৎ থাকাটা খুবই জরুরি। বিশেষ করে কৃষি যন্ত্রপাতির প্রয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যুদায়ন ছাড়া সমস্যার সমাধান বের করা সম্ভব নয়।
প্রত্যন্ত গ্রামে গ্রিড সংযুক্ত বিদ্যুৎ নিয়ে যাওয়ার জন্য যে বিপুল পরিমাণ অর্থ লাগে তা জোগাড় করাটা সত্যই কঠিন। এর থেকে সরকারি ভরতুকিতে বা সরকারি অর্থানুকূল্যে বিকল্প বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যবস্থা করলে ভাল হয়। সেই লক্ষ্যেই সরকার বিভিন্ন সরকারি ও অসরকারি সংস্থাকে এই কাজে সামিল করেছে।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 1/5/2020
জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা আইন (এনরেগা) অন...