সোলার মিশন রূপায়নের ক্ষেত্রে কয়েকটি রাজ্য খুবই গুরূত্বপূর্ণ উদ্যোগ নিয়েছে। বিশেষ করে গুজরাট এ ব্যাপারে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গেও প্রত্যন্ত সুন্দরবন অঞ্চলে সৌর বিদ্যুৎ প্রয়োগের কাজ অনেকটা এগিয়েছে। মিশনের প্রথম লক্ষ্য হল এই সৌরবিদ্যুৎ কীভাবে গ্রিডে সংযুক্ত করা যায়।
মিশনের প্রথম পর্বে ৯৫০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে দু’টি ভাগে কাজ করা হয়েছিল। প্রথম ভাগ ২০১০-১১-য় ও দ্বিতীয় ভাগ ২০১১-১২-য় রূপায়িত হয়। প্রথম ভাগে সোলার ফোটোভোলটাইক প্রকল্পগুলিতে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ধার্য হয় ১০ টাকা ৯৫ পয়সা থেকে ১২ টাকা ৭৬ পয়সা পর্যন্ত। দেখা যায় গড়পড়তা খরচ ধার্য হয়েছে ১২ টাকা ১২ পয়সা প্রতি ইউনিট। সোলার থার্মাল প্রকল্পগুলির ক্ষেত্রে বিদ্যুতের দাম দাঁড়ায় ১০ টাকা ৪৯ পয়সা থেকে ১২ টাকা ২৪ পয়সা। গড়পড়তা মূল্য দাঁড়ায় ১১ টাকা ৪৮ পয়সা প্রতি ইউনিট। দ্বিতীয় ভাগে সোলার পিভি প্রোজেক্টের জন্য ইউনিট প্রতি মূল্য দাঁড়ায় ৭ টাকা ৪৯ পয়সা থেকে ৯ টাকা ৪৪ পয়সা প্রতি ইউনিট। গড়পড়তা মূল্য দাঁড়ায় ৮ টাকা ৭৭ পয়সা প্রতি ইউনিট। এই বিদ্যুৎ এনভিভিএম কিনে নেয় এবং বিভিন্ন ইউটিলিটি/ডিসকমকে সরবরাহ করা হয়। আবার এনটিপিসির তাপ বিদ্যুতের সঙ্গে মিশিয়ে মূল গ্রিডেও তা সরবরাহ করা হয়। দ্বিতীয় পদ্ধতি অবলম্বনের ফলে সৌর বিদ্যুতের দাম কার্যকর ভাবে খানিকটা কম রাখা সম্ভব হয়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রথম পর্বের এই দুই ভাগে ৫৩০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়েছে। এ ছাড়া মাইগ্রেশন স্কিমে আরও ৫০.৫ মেগাওয়াট উৎপাদন করা হচ্ছে, আইআরইডিএ-জিবিআই স্কিমে ৯০.৮ মেগাওয়াট ও পুরনো ডেমনস্ট্রশন স্কিমে ২১.৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রথম পর্বে মোট ৬৯২.৮ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে। লক্ষ্যের তুলনায় তা কম হলেও যে ভাবে উৎপাদন শুরু করা গিয়েছে এবং সমস্ত রাজ্য যে উৎসাহের সঙ্গে প্রকল্প রূপায়ণে সহযোগিতা করেছে তাতে পরবর্তী পর্বে সাফল্য পাওয়া এমন কিছু কঠিন নয় বলেই বিশেষজ্ঞদের ধারণা।
সূত্র : কেন্দ্রীয় নতুন ও পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি মন্ত্রকের ওয়েবসাইট
সর্বশেষ সংশোধন করা : 5/15/2020