জওহরলাল নেহরু জাতীয় সৌর মিশন প্রকল্পটি ভারত সরকার চালু করলেও বিভিন্ন রাজ্য সরকারের সক্রিয় সহায়তায় তা রূপায়িত হচ্ছে। এটি এক দিকে যেমন পরিবেশ-বান্ধব স্থায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদনকে সুনিশ্চিত করবে অন্য দিকে দেশ জুড়ে বিদ্যুতের চাহিদা ও নিরাপত্তা মেটানোর লক্ষ্যেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে। জলবায়ু পরিবর্তন রোখার ব্যাপারে গোটা বিশ্ব জুড়ে যে অভিযান শুরু হয়েছে এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভারতও তাতে বেশ ভালোমতো অবদান রাখতে সক্ষম হবে।
মিশনের লক্ষ্য হল সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে ভারতকে সামনের সারিতে নিয়ে আসা। অতি দ্রুত এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা রচনা করে তা রূপায়ণের ব্যবস্থা করার লক্ষ্যে এই মিশনে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মিশনের উদ্দেশ্য হল ২০২২ সালের মধ্যে দেশে ২০ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন ইউনিট গঠন করা। এই জায়গায় পৌঁছনোর জন্য তিনটি দফায় কাজ করার কথা ভাবা হয়েছে। প্রথম দফা কার্যকর করা হয়েছে ২০১২-১৩ পর্যন্ত। দ্বিতীয় দফার সূত্রপাত ২০১৩ সাল থেকে, চলবে ২০১৭ সাল পর্যন্ত। তৃতীয় দফাটি চলবে ২০১৭ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত। এই প্রকল্প রূপায়ণে এনটিপিসি ও ‘বিদ্যুৎ ব্যাপার নিগম’-এরও সাহায্য নেওয়া হবে। গ্রিড সংযোগ করার জন্য এই দুই কোম্পানির সহায়তা একান্ত দরকার। এর ফলে সরকারের উপর থেকে খরচের বোঝা খানিকটা কমবে। প্রকল্প রূপায়ণে (অন্তত ১০০ মেগাওয়াট উৎপাদনের ক্ষেত্রে) আইআরইডিএ-র সহায়তাও নেওয়া হবে। স্থির হয়েছিল দ্বিতীয় পর্বে ৩ হাজার মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষমতা অর্জন করা সম্ভব হবে, কিন্তু পরিবর্তিত বাস্তব পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে উৎপাদন ক্ষমতা এক হাজার মেগাওয়াটের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে। এই ৩ হাজার মেগাওয়াট কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির সাহায্যেই রূপায়ণের কথা ভাবা হয়েছিল এবং সেই লক্ষ্যে কাজ শুরু করা হয়েছিল।
সূত্র : কেন্দ্রীয় নতুন ও পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি মন্ত্রকের ওয়েবসাইট
সর্বশেষ সংশোধন করা : 3/5/2020