দক্ষতার সঙ্গে শক্তি ব্যবহারের যে উপকারিতা রয়েছে এবং শক্তি বাঁচানোর যে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে, সে সবের দিকে তাকিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার শক্তি সংরক্ষণ আইন ২০০১ চালু করেছে। দেশে দক্ষতার সঙ্গে শক্তিকে ব্যবহার করার প্রশ্নে এই আইন কেন্দ্র ও রাজ্যস্তরে আইনগত কাঠামো, প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা এবং নিয়ন্ত্রক কাঠামোর ব্যবস্থা করেছে। এই আইনের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থান হল নির্ধারিত গ্রাহক, যন্ত্রাদির গুণমান নির্ণয় ও চিহ্নিতকরণ, শক্তি সংরক্ষণের কোড তৈরি, প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো নির্মাণ এবং শক্তি সংরক্ষণ তহবিল গড়ে তোলা সংক্রান্ত।
শক্তি সংরক্ষণ আইন ১ মার্চ ২০০২ থেকে এবং ব্যুরো অফ এনার্জি এফিসিয়েন্সিও ১ মার্চ ২০০২ থেকে কার্যকর রয়েছে। বর্তমানে সংস্থাগতভাবে শক্তির দক্ষতার সঙ্গে ব্যবহার ও কর্মসূচি প্রণয়ন এই আইনের বেশ কিছু স্বেচ্ছামূলক ও আবশ্যিক বিষয় দ্বারা পরিচালিত হয়। এই আইন ২০১০ সালে সংশোধিত হয়েছে। মূল যে বিষয়গুলি সংশোধন করা হয়েছে সেগুলি হল-
শক্তি সংরক্ষণ সংশোধিত আইনের পাশাপাশি রাষ্ট্র নতুন বিকল্প শক্তি সম্পর্কিত আলাদা আলাদা আইন করার কথাও ভাবছে। অর্থাৎ জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে আলাদা আইন,সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহারের ক্ষেত্রে আইন— ইত্যাদি। এর ফলে বিকল্প শক্তির ব্যবহার অনেক ক্ষেত্রেই বাধ্যতামূলক হয়ে পড়তে পারে। বিকল্প বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরিমাণ বাড়ালে কী বাড়তি সরকারি সুযোগ মিলবে তার খতিয়ানও নয়া আইনের সঙ্গে পেশ করা হবে বলে সরকারি সূত্রের খবর। ফলে আগ্রহী হয়ে অনেক বেসরকারি নির্মাণ সংস্থা বিকল্প বিদ্যুৎ ব্যবহার সংক্রান্ত কারিগরীর আমূল পরিবর্তন করার কথা বাবতে পারে এই সংকরান্ত গবেষণা আরও উন্নত হতে পারে।
সূত্র: মিনিস্ট্রি অফ পাওয়ার
সর্বশেষ সংশোধন করা : 11/14/2019