আইপিসিসি-র রিপোর্টে বলা হয়েছে, তাপবিদ্যুতের মতো চিরাচরিত শক্তি প্রকল্পে ২০ শতাংশ বিনিয়োগ কমিয়ে বিকল্প শক্তি উৎপাদনে বিনিয়োগ দ্বিগুণ করা দরকার। এ ব্যাপারে তারাও যে সম্যক অবহিত এবং উদ্যোগী, তা বোঝাতে ইস্তাহারে পরিবেশ-বান্ধব নানা প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি আশার বাণীও শোনাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলি। যেমন, তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আশ্বাস, “বর্জ্যের যথাযথ ব্যবহার থেকে সৌরশক্তি এবং অচিরাচরিত শক্তি উৎপাদনে জোর দেওয়া হবে।” বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ বলছেন, “পরিবেশ রক্ষা করা না গেলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিঘ্নিত হবে। তাই বিকল্প শক্তি, জল সংরক্ষণে জোর দেওয়া হচ্ছে।” প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী দাবি করছেন, বিকল্প শক্তির জন্য তাঁদের বাজেট বরাদ্দ যথেষ্ট। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, “জাতীয় স্তরে বিষয়টিতে আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া দরকার। আন্তর্জাতিক আলোচনাচক্র, সংসদে বিতর্কের সময় নানা সময়ে বিষয়টি নিয়ে আমি বক্তব্য জানিয়েছি।”
কিন্তু শুধু প্রতিশ্রুতিতে কাজের কাজ হবে কি? বিশিষ্ট সৌরবিজ্ঞানী শান্তিপদ গণচৌধুরী বলেন, “ইস্তাহারের ঘোষণাগুলি তো ভালো। কিন্তু এঁরা কেউ প্রতিশ্রুতি রাখেন না।” যেমন, সুন্দরবনে দেশের প্রথম সামুদ্রিক শক্তি প্রকল্প গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু তা এখনও হয়ে ওঠেনি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ওশানোগ্রাফির প্রধান সুগত হাজরা পরামর্শ দিচ্ছেন, বড় আবাসন, শপিং মল ইত্যাদি তৈরির সময়ে সৌরশক্তির ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা যেতে পারে। তিনি বলেন, “আশ্বাস, ঘোষণা, প্রতিশ্রুতির সময় পেরিয়ে গিয়েছে। এখন ময়দানে নেমে কাজ করতে হবে।”
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা, ১৮ এপ্রিল ২০১৪
সর্বশেষ সংশোধন করা : 4/28/2020