শহরের ২০ হাজার সাইকেল ভ্যান ও ঠেলাগাড়িকে লাইসেন্স দেবে কলকাতা পুরসভা৷ এ কথা জানান কলকাতা পুরসভার মহানাগরিক শোভন চ্যাটার্জি৷ বলেন, আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে লাইসেন্স দেওয়ার কাজ শুরু হবে৷ একই সঙ্গে সাইকেল ভ্যান ও ঠেলাগাড়িগুলোকে দেওয়া হবে হাইসিকিউরিটি নেমপ্লেট৷ এ দিন মেয়রের সঙ্গে কলকাতার নগরপাল সুরজিৎ কর পুরকায়স্হের বৈঠক হয় এবং তার পর চূড়াম্ত সিদ্ধাম্ত নেওয়া হয়৷ উল্লেখ্য দীর্ঘ সময় ধরে হাতেটানা রিকশা, সাইকেল ভ্যান ও ঠেলাগাড়ির লাইসেন্স দেওয়ার কাজ বন্ধ ছিল৷ পুলিস ও পুরসভার মধ্যে সমন্বয়ের অভাবেই এত দিন লাইসেন্স দেওয়ার কাজ বন্ধ ছিল বলে পুরসভা সূত্রের খবর৷ পুর অধিবেশনেও বিরোধীরা এই বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আনেন৷ তখন বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিম্তা হবে বলে আশ্বস্ত করেছিলেন মহানাগরিক৷ পুরসভা সূত্রে খবর, এই হাইসিকিউরিটি নেমপ্লেট প্রতি বছর পুননর্বীকরণ করা হবে৷ তবে হাতে টানা রিকশাচালকদের লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা থেকে গেল বলে মনে করছেন বিরোধীরা৷
কলকাতার রাস্তায় দূষণমুক্ত পরিবহন ব্যবস্থা আগে অনেকটা জায়গা অধিকার করেছিল। দুর্ভাগ্যের বিষয় আরও গতি, আরও দ্রুততার স্বার্থে ধীরে ধীরে দূষণ মুক্ত যান সরিয়ে ফেলার চেষ্টা হয়। কোনও এক ১৫ আগস্টের আগে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী(তৎকালীন) অসীম দাশগুপ্ত ঘোষণা করেছিলেন কলকাতা শহ থেকে হাতে টানা রিকশো তুলে দেওয়া হবে। কিন্তু প্রবল সামাজিক আন্দোলনের চাপে সেই প্রস্তাব রূপায়ন করা সম্ভব হয়নি। রিকশা চালানো যাঁদের পেশা তাঁরা একে কখনই অপমান হিসাবে নেন না। আবার এ ধরনের রিকশা যদি কলকাতা শহর থেকে তুলে দেওয়া হয় তাহলে ছোট পণ্য সরবরাহকারী, অসুস্থ বহু মানুষ বেকায়দায় পড়বেন। শুধু তাই নয়, এ ধরনের ব্যবস্থা নিলে বহু গরিব মানুষ একেবারে বেকার হয়ে পড়ত। কথিত আছে কলকাতার রিকশা চালক দেশে বড় জমির মালিক হন। এটি নিছক প্রবাদ নয়।
সূত্র : আজকাল, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
সর্বশেষ সংশোধন করা : 1/28/2020