পাঁচামি, শালবাদরা এলাকার পর এ বারে মুরারই থানার রাজগ্রাম পাথর শিল্পাঞ্চলে পরিবেশ দূষণ নিয়ে আন্দোলনে নামল জেলা আদিবাসী গাঁওতা। মুরারই থানার রাজগ্রাম এবং মহুরাপুর পঞ্চায়েতের খাদান ক্রাসারগুলির পরিবেশ দূষণ নিয়ে জেলাশাসকের দ্বারস্থ হলেন এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ এবং জেলা আদিবাসী গাঁওতা নেতৃত্ব। তাঁদের অভিযোগ, “এলাকায় বিশেষ করে কল্যাণপুরে নতুন নতুন করে ক্রাসার-খাদান তৈরি হচ্ছে। অথচ এলাকার খাদান-ক্রাসার মালিকেরা পরিবেশ দূষণ নিয়ে কোনও কিছু ভাবছেন না। মুরারই থানার রাজগ্রাম পঞ্চায়েত এবং মহুরাপুর পঞ্চায়েত এলাকারও একই অবস্থা।” ওই সমস্ত এলাকার পরিবেশ দূষণ ঠেকাতে নভেম্বর মাসে উচ্চ আদালতে মামলা করেন মুরারই থানার কল্যাণপুর গ্রামের বাসিন্দা দেবী সোরেন। জেলা আদিবাসী গাঁওতার মুরারই এলাকার দয়িত্বপ্রাপ্ত নেতা বলাই সোরেন বলেন, “সম্প্রতি সেই মামলায় উচ্চ আদালত জেলাশাসক এবং জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিককে দূষণ নিয়ন্ত্রণে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিলেও জেলা প্রশাসন কিছু ব্যবস্থা নিচ্ছে না। অথচ দূষণে কল্যাণপুর গ্রামের প্রাথমিক স্কুলের ছেলেমেয়েরা স্কুল যেতে চাইছে না। এ ছাড়া, জিত্পুর গ্রাম লাগোয়া খাদানের জন্য গ্রামের বাসিন্দারা সব সময় আতঙ্কে দিন কাটায়।” তাঁদের দাবি, গ্রাম লাগোয়া খাদান-ক্রাসার দূষণ নিয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশ প্রশাসন কার্যকর করুক। সে জন্য জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করে তাঁর কাছে এ ব্যাপারে জানানো হয়েছে। প্রশাসন যদি পদক্ষেপ না নেয় তা হলে এলাকার বাসিন্দারা পথে নেমে আন্দোলন করতে বাধ্য হবে বলে জানান বলাইবাবু।
জেলাশাসক পি মোহন গাঁধী বলেন, “এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। অভিযোগের ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।” রাজগ্রাম পাথর শিল্পাঞ্চল মালিক সমিতির সম্পাদক আসগার আলি বলেন, “এলাকায় নতুন কোনও খাদান-ক্রাসার হয়নি। কল্যাণপুর গ্রামের স্কুলের কাছে যে খাদান আছে সেটা জলে ভর্তি। পরিবেশ দূষণ নিয়ে আমরা সজাগ আছি। প্রয়োজনে আমরা জেলাপ্রশাসনকে সব রকম সাহায্য করতে রাজি আছি।” তাঁর দাবি, জিত্পুর গ্রামে আর কোনও খাদান নেই। যা আছে জলে ভর্তি, পরিত্যক্ত।
সূত্র : নিজস্ব সংবাদদাতা, আনন্দবাজার পত্রিকা, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
সর্বশেষ সংশোধন করা : 11/14/2019