তারাপীঠে দ্বারকা নদীর দূষণে দায়ী ২৩৫টি হোটেল ও লজ বন্ধ রাখতে হবে – জাতীয় পরিবেশ আদালতের এই নির্দেশে অভূতপূর্ব অচলাবস্হা তৈরি হয়েছে তারাপীঠে৷ স্হানীয় ৩টি হোটেল মালিক সংগঠনের ডাকে তারাপীঠের সমস্ত হোটেল ও লজ অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ হয়ে গেল৷ এই পরিস্হিতির জন্য জেলা প্রশাসনকেই দায়ী করেছেন হোটেল মালিক সংগঠনের কর্তারা৷ তাঁদের অভিযোগ, দ্বারকা দূষণের জন্য দায়ী প্রশাসনের ব্যর্থতা৷ রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের ছাড়পত্র না পাওয়ার জন্যও হোটেল মালিকরা জেলা প্রশাসনের দীর্ঘসূত্রিতাকেই দায়ী করেছেন৷ তৃণমূল কংগ্রেসের স্হানীয় ব্লক সভাপতি তথা তারাপীঠের দু’টি হোটেল মালিক সংগঠনের সভাপতি সুকুমার মুখার্জি জানান, স্হানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের শিক্ষা ও স্বাস্হ্য দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আশিস ব্যানার্জি, জেলার একমাত্র পূর্ণমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা ও জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের কাছে ইতিমধ্যেই হোটেল মালিক সংগঠনের প্রতিনিধিদল গিয়েছিল৷ তাঁরা শিগগিরই এই সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন৷ প্রসঙ্গত, তারাপীঠে হোটেল ও লজগুলির বর্জ্যপদার্থ দ্বারকা নদীর দূষণ রোধ করতে আইনজীবী জয়দীপ মুখার্জির দায়ের করা জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় পরিবেশ আদালত (গ্রিন ট্রাইবুনাল) নির্দেশ দেয়, দূষণ বিধি সংক্রাম্ত ছাড়পত্র না নেওয়া পর্যম্ত তারাপীঠের ২৩৫টি হোটেল ও লজ বন্ধ রাখতে হবে৷ বিচার চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্হ হওয়ার কথা ভাবছে হোটেল মালিক সংগঠন৷
ধর্মক্ষেত্রে দূষণ সম্পর্কে আমরা সত্যিই সচেতন নই কারণ এটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়। সত্যজিৎ রায় কিন্তু তাঁর গণশত্রু ছবির মাধ্যমে এই দিকটিতেই নজর দিয়েছিলেন। পরে তারকেশ্বরের দুধ পুকুরের দূষণ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের লাগাতর অভিযোগের ফলে পশ্চিমবঙ্গের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ব্যবস্থা নেয়। ওই পুকুরে স্নান করা নিষিদ্ধ হয়। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের নানা ধর্মস্থানে নির্বিচারে দূষণ চলে আসছে। তবে দক্ষিণেশ্বর মন্দির কর্তৃপক্ষ দূষণ নিয়ন্ত্রণে যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন বা সেখানে বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়নে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে এগিয়ে এসেছে তা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।
সূত্র : অনুপম বন্দ্যোপাধ্যায়, আজকাল, ৪ ফেব্রুয়ারি,২০১৫
সর্বশেষ সংশোধন করা : 5/20/2020