ভারতে পরমাণু দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে দায় ঠিক করার আইনে কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না। তাই এ নিয়ে পরমাণু চুল্লির যন্ত্রাংশ সরবরাহকারীদের উদ্বেগের কিছু নেই। এ ভাবেই দেশি-বিদেশি সরবরাহকারীদের আশ্বস্ত করেছে বিদেশ মন্ত্রক। সদ্য মেটানো হয়েছে ভারত-মার্কিন পরমাণু চুক্তির জট। বিষয়টিতে যে রকম বোঝাপড়া হয়েছে, তাতে কোনও পরমাণু দুর্ঘটনা ঘটলে ক্ষতিগ্রস্তরা সরাসরি বিদেশি সরবরাহকারীদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করতে পারবে না। তবে দুর্ঘটনাগ্রস্ত পরমাণু চুল্লির পরিচালক সংস্থা চাইলে সরবরাহকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবে। সম্প্রতি ভারতের ‘সিভিল লায়াবিলিটি ফর নিউক্লিয়ার ড্যামেজ’ (সি এল এন ডি) আইনের ৪৬ ধারা নিয়ে উদ্বেগ জানায় সরবরাহকারীরা। এর মাধ্যমে দেশের অন্য কোনও আইনের সাহায্যে সরবরাহকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে কি না জানতে চায়। বিদেশ মন্ত্রক জানাল, পারবে না। ভারত ও আমেরিকার নিউক্লিয়ার কনট্যাক্ট’ গ্রুপের ৩ দফা বৈঠকের পর বিষয়টি পরিষ্কার করে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। শেষ বৈঠকটি হয়েছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ভারত সফরের মাত্র ৩ দিন আগে। সেই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হয়েই পরমাণু চুক্তিতে চূড়াম্ত সম্মতি জানান প্রেসিডেন্ট ওবামা এবং প্রধানমন্ত্রী মোদী। পরমাণু দুর্ঘটনা ও তার দায় নিয়ে বিদেশ মন্ত্রক বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে ৭ পাতা জুড়ে। সেখানে প্রশ্ন ওঠে, আইনে চুল্লির পরিচালকদেরও সরবরাহকারীর বিরুদ্ধে মামলা করার অধিকার আছে কি? বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, আইনের ১৭ ধারায় সেই অধিকার রয়েছে। তবে ধারাটি বাধ্যতামূলক নয়। সরবরাহ চুক্তি সই করার সময় ঝুঁকি ভাগাভাগি করতে এই ধারা অনুসারে ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে। আরও প্রশ্ন, বিদেশ থেকে সরবরাহ করা পরমাণু জ্বালানি বা যন্ত্রাংশ ভারতে কোথায়, কী ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে তা খতিয়ে দেখার সুযোগ কি আমেরিকাকে দেওয়া হয়েছে? বিদেশ মন্ত্রক জানায়, এমন কোনও সুযোগ নেই।
সূত্র : আজকাল, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
সর্বশেষ সংশোধন করা : 4/22/2020