বাদুর দুটো সর্পোদ্যান থেকেই কুমির, সাপ ও কচ্ছপ ফেরত নিয়ে গেল বন দফতর৷ শনিবার সন্ধ্যায় বন দফতরের ৩টি গাড়ি এসে পৌঁছয় বাদুর কলকাতা সর্পোদ্যান ও পশ্চিমবঙ্গ সর্পোদ্যানে৷ সর্পোদ্যানের কর্ণধার দীপক মিত্রের কাছ থেকে বন দফতরের আধিকারিকরা এ দিন বেশ কিছু কাগজপত্র দেখতে চান৷ ওই কাগজগুলো পাওয়ার পর তাঁরা ১টি কচ্ছপ ফেরত নিয়ে যান৷ একই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ সর্পোদ্যান থেকে ১টি কুমির, ১টি পাইথন ও ৬টি চন্দ্রবোড়া, ২টি দাঁড়াশ ও ৩টি কেউটে সাপ ফেরত নিয়ে যান বন দফতরের আধিকারিকরা৷ পশ্চিমবঙ্গ সর্পোদ্যানের কর্ণধার রামপ্রসাদ মিত্র জানান, প্রায় ৬ বছর আগে ওই কুমির ও সাপগুলো বন দফতরের পক্ষ থেকে তাঁদের কাছে রেখে যাওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু বর্তমানে আলিপুর চিড়িয়াখানা সংস্কার হওয়ায় সেই সাপগুলো এখন ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে৷ অন্য দিকে কলকাতা সর্পোদ্যানের কর্ণধার দীপককুমার মিত্র জানান, যে কচ্ছপটি তাঁদের কাছে দেখভালের জন্য রাখা হয়েছিল এ দিন তিনি তা স্বেচ্ছায় ফিরিয়ে দিয়েছেন৷ যদিও স্হানীয় ও বন দফতর সূত্রে জানা গেছে, দেখভালের অভাবে ও সর্পোদ্যান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগের জন্যই এগুলি এ দিন ফেরত নেওয়া হয়েছে৷ ফের এই দুটি সর্পোদ্যানে বন দফতরের আধিকারিকরা আসবেন বলেও জানা গেছে৷ এই দুই সর্পোদ্যান কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার জন্য তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্হা নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে৷
জীব কল্যাণের নাম করে জীবের ক্ষতি করার প্রক্রিয়া এ দেশে এই প্রথম নয়। আমাদের সাপুড়েরা প্রথম এই অন্যায় আচরণের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন। অনেকের ভ্রান্ত ধারনা রয়েছে সাপুড়েরা বোধহয় সাপ ধরে মেরে ফেলে চামড়ার ব্যবসা করেন। তা কিন্তু আদপেই ঠিক নয়। সাপুড়েরা সাপের বিষ সংগ্রহ করে তা ওষুধের তৈরির জন্য বিক্রি করেন ঠিকই কিন্তু তারা কখনই সাপকে হত্যা করেন না। বরং সেই সাপকে জনবসতি থেকে রক্ষা করে বা উদ্ধার করে জঙ্গলে তার নিজস্ব বাসস্থানে ছেড়ে দিয়ে আসেন।
সূত্র : আজকাল, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
সর্বশেষ সংশোধন করা : 11/14/2019