সভা থেকে লিফলেট বিলি সবই হয়েছে। তবুও ইতি পড়েনি পক্ষীনিধনে। বন আইন অনুযায়ী, পাখি মারা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। পাখি মারলে আর্থিক জরিমানা সহ জেল হতে পারে। তবে প্রচার সত্ত্বেও যে সচেতনতা সে ভাবে বাড়েনি তার প্রমাণ দাসপুরের বিভিন্ন এলাকায় গোপনে পাখির মাংস বিক্রির রমরমা। দাসপুরের হরিসিংহপুর, উদয়চক, শিমুলিয়া, নবীণ সিমলা, রানিচক, দরি অযোধ্যা, বিষ্ণুপুর, শ্যামসুন্দরপুর সহ ব্লকের বিভিন্ন প্রান্তে পক্ষী নিধনের হার বাড়তে থাকায় কমছে বক, ঘুঘু, বনি, ডাক, বনমোরগ, পানকৌড়ির সংখ্যাও। প্রশাসন সূত্রে অবশ্য দাবি, প্রচারে সচেতনতা কিছুটা ফিরলেও পাখি মারা পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি।
বন দফতরের ডিএফও (খড়গপুর) অঞ্জন গুহ বলেন, “সাধারণ মানুষকে বোঝাতে প্রচারও শুরু করেছি। একই সঙ্গে গোপনে নজরদারিও চলে। তবে পাখি মারতে গিয়ে হাতেনাতে কেউ ধরা পড়লে বা কারও নামে অভিযোগ হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” পাখি বাঁচাতে উদ্যোগী হয়েছে ব্লকের ভুতা গ্রামের একটি পরিবেশপ্রেমী সংগঠনও। ওই সংগঠনও বিষয়টি ব্লক প্রশাসন ও বন দফতরে জানিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে।
স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে খবর, পাখির সংখ্যা কমায় পরিবেশের ভারসাম্য বিঘ্নিত হচ্ছে। পোকামাকড় খেয়ে পাখি ফসলকে বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব থেকেও রক্ষা করে। দূষিত বিভিন্ন পদার্থ খেয়ে সাহায্য করে দূষণ কমাতে। অভিযোগ, বাইরে থেকে লোক এসে গুলি করে অথবা ফাঁদ পেতে পাখি ধরছে। তাঁদের বেশির ভাগই মূলত খাওয়ার উদ্দেশ্যেই পাখি ধরছে। তবে জেলা তথা রাজ্যের বাইরে পাখির মাংস পাচারও হচ্ছে দেদার। স্থানীয় বাসিন্দাদেরও অভিযোগ, বাইরে থেকে লোক এসে বিভিন্ন সময় পাখি শিকার করে। প্রশাসনকে জানিয়েও বিশেষ কাজ হয়নি।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
ছবি : আনন্দবাজার পত্রিকা
সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/27/2020