বেশ কয়েকটি উন্নত দেশে খুব আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে বর্জ্য পোড়ানো হয় বন্ধ চেম্বারের মধ্যে যার ফলে দূষিত ধোঁয়া খুব অল্পই তৈরি হয়। কিন্তু সমস্যার সেখানে শেষ নয়। মানুষের আধুনিক জীবনযাত্রায় অনেক জিনিসই ব্যবহার করা হয় যাতে ক্লোরিন থাকে। সেগুলো আগুনের স্পর্শে ডায়াক্সিন নামে এক অতি বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য তৈরি করে। জাপানের মতো ছোট দেশ বর্জ্য কোথায় লুকোবে। জমির অভাবে তারা বর্জ্য পোড়ানোরই সিদ্ধান্ত নিয়েছে আর তাই নতুন পরিসংখ্যান অনুযায়ী জাপানের হাওয়ায় ডায়াক্সিনের হার সব চেয়ে বেশি। বাতাসে এই মিশেলের হার পার্টস পার মিলিয়নে করা হয়। কিন্তু খুব সামান্য পরিমাণে বাতাসে মিশতে থাকলেও এক গ্রাম ডায়াক্সিনও কয়েক হাজার মানুষের প্রাণ সংশয়ের কারণ হতে পারে। বহু পৃথকীকরণ করা সত্ত্বেও ডায়াক্সিন সম্পূর্ণ ভাবে কমিয়ে ফেলা যায় না। এই বাস্তবের ছবির পাশে হাওড়াতে পৃথকীকরণ ছাড়াই এই বর্জ্য পোড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে কোন যুক্তিতে?
হাওড়ায় এত জনবসতি, ময়লা পোড়ানোর প্রকল্পের জন্য যে জায়গা শনাক্ত করা হয়েছে সেটা কি মানুষের বাসস্থানের কাছেই? এত জনবহুল অঞ্চলে ৯০ বিঘা জমি পাওয়া সহজ নয়। পাওয়া গেলেও জনমানবশূন্য হওয়ার সম্ভাবনা কম। যতই নতুন প্রযুক্তির দোহাই দিই, সম্পূর্ণ ধোঁয়াহীন হবে না। চিমনি দু-একটি থাকবেই আর এই চিমনির ধোঁয়া হাওয়ায় মিশে পূর্ব ভারতের নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়বে। বিশ্বের যোখানেই এমন প্রকল্প রয়েছে, সেখানেই দূষণ। তা হলে বাকি রইল কী?
সূত্র : এই সময়, ১৬ মার্চ ২০১৫
সর্বশেষ সংশোধন করা : 12/20/2018