অরণ্য অনন্য প্রাকৃতিক সম্পদ যা সব সময়েই মানবজীবনের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। অরণ্য থেকে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি এবং কাঁচা মাল পাওয়া যায়। অরণ্য জীববৈচিত্রকে রক্ষা করা, আবহাওয়ার পরিবর্তনকে রুখে দেওয়া, ভূমি ও জলসম্পদ রক্ষা করা, বিনোদনের ব্যবস্থা করা, বাতাসের গুণ বাড়ানো এবং দারিদ্র দূরীকরণের ব্যাপারে অরণ্যের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।
২০১৩ সালে দেশের বনাঞ্চলের অবস্থা সম্পর্কিত রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের ভৌগোলিক এলাকার ২৩.২৩ শতাংশ বনাঞ্চল (তার মধ্যে ২.৭৮ শতাংশ গাছে ছাওয়া অঞ্চলকে বাদ দেওয়া হয়েছে)। বনাঞ্চল বলতে বোঝানো হয়েছে এক হেক্টরের বেশি ভূমি যার মধ্যে উদ্ভিদের ঘনত্ব ১০ শতাংশের বেশি। এই ধরনের ভূমির মালিকানা যারই হোক না কেন তাকে বনাঞ্চল বলা হবে।
ভারতের বনাঞ্চল সর্বেক্ষণ বিভাগ (এফএসআই) ১৯৮৭ সাল থেকে দ্বিবার্ষিক রিপোর্ট বের করে দেশের বনাঞ্চলের অবস্থার তথ্য বিবৃত করছে। এই রিপোর্টটিকে দেশের অরণ্যসম্পদ সম্পর্কে প্রামাণ্য নির্ভরযোগ্য মূল্যায়ন হিসাবে গণ্য করা হয়।
২০১৩ সালের রিপোর্টটি এই সিরিজের ১৩-তম রিপোর্ট। এই রিপোর্ট অক্টোবর ২০১০ থেকে জানুয়ারি ২০১২ পর্যন্ত, এই সময়কালের। ন্যূনতম এক হেক্টর বনাঞ্চল সম্পর্কে নিজস্ব উপগ্রহে রক্ষিত ২৩.৫ মিটার স্পেশিয়াল রেজোলিউশন যুক্ত লিস থ্রি সেন্সর ডেটা বিশ্লেষণ করে যে তথ্য পাওয়া গেছে তার ভিত্তিতে এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের সঙ্গে জঙ্গলের প্রকৃত অবস্থান ও চরিত্র মিলিয়ে দেখা হয়েছে। মাঠেঘাটে ঘুরে সমীক্ষা কর্মীরা যে তথ্য জোগাড় করেছেন সেই তথ্য এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য ব্যবহার করে উপগ্রহচিত্র বিশ্লেষণ করে পাওয়া তথ্যের ব্যাখ্যাকে আরও উন্নত করা হয়েছে। ২০১১ সালের রিপোর্টের নিরিখে এ বারের রিপোর্টে যে সব পরিবর্তন ধরা পড়েছে সেগুলো রেকর্ড করা হয়েছে। ইন্ডিয়া স্টেট ফরেস্ট রিপোর্ট ২০১৩-য় বনাঞ্চলের বিস্তার, গাছের বিস্তার, ম্যানগ্রোভ অরণ্যের বিস্তার এবং বনাঞ্চলের ভিতর ও বাইরের সম্পদের বৃদ্ধি বিষয়ে তথ্য রয়েছে। পাহাড়ি জেলা, আদিবাসী অধ্যুষিত জেলার, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির বনাঞ্চল সম্পর্কে বিশেষ ভাবনাগত তথ্য সন্নিবেশিত হয়েছে ওই রিপোর্টে। প্রতিটি রাজ্য ও জেলার বনাঞ্চল নিয়ে আগেকার তথ্যের সঙ্গে বর্তমান তথ্যের যে ফারাক রয়েছে তা-ও আলাদা ভাবে রিপোর্টে তুলে ধরা হয়েছে।
সুত্রঃ http://fsi.nic.in/
সর্বশেষ সংশোধন করা : 11/14/2019