ক্ষারতা, অম্লতা, ভূমিক্ষয়, ভূমি লবণাক্ত হয়ে যাওয়া, জল জমে যাওয়া এবং বাতাসের দরুন ভূমিক্ষয়ের জন্য ভারতে ৪৫ শতাংশ জমির অবক্ষয় হয়। ভূমিক্ষয়ের মূল কারণ হল অরণ্য নাশ করা, অস্থায়ী ধরনের চাষ, খনন এবং ভূগর্ভ থেকে অতিরিক্ত জল উত্তোলন। ১৪৭০ লক্ষ হেক্টর অবক্ষয়িত জমির মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ ফের ব্যবহারযোগ্য করে তোলা যায়। মনে রাখা দরকার ভারতের বনাঞ্চল ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ভারতের সব শহরেই বায়ু দূষণ বাড়ছে। ভাসমান কণা অর্থাৎ যে ধুলো বাঁ ধোঁয়ার কণা যা নিঃশ্বাসের সঙ্গে ফুসফুসে প্রবেশ করে তা দেশের ৫০টি শহরে বেড়ে গিয়েছে। শহরের বায়ু দূষণের মূল কারণ হল যানবাহন ও কারখানা থেকে নির্গত গ্যাস।
ভারত যতটা জল ব্যবহার করা সম্ভব তার ৭৫ শতাংশই ব্যবহার করছে। যদি এ ব্যাপারে যত্নবান হওয়া যায় তা হলে ভবিষ্যতের জন্য যথেষ্ট জল সঞ্চয় সম্ভব। গার্হস্থ্য প্রয়োজনে ব্যবহৃত জলের সঠিক ভাবে দাম নির্ধারণ করতে না পারা, নিকাশি ব্যবস্থার অভাব, শিল্পক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে ভূগর্ভস্থ জল ব্যবহার করা, কারখানা থেকে নির্গত বিষাক্ত পদার্থ ও জৈববর্জ্য জলে মেশা, অপর্যাপ্ত সেচ এবং অতিরিক্ত রাসায়নিক সারের ব্যবহার আমাদের দেশের জল সংক্রান্ত সমস্যার মূল কারণ।
দেশ জুড়ে যে বিভিন্ন ধরনের প্রজাতির উদ্ভিদ গাছগাছালি রয়েছে তার নিরিখে ভারত বিশ্বের ১৭টি ‘মেগাডাইভার্স’ দেশের অন্যতম। এর মধ্যে জঙ্গলের প্রাণীকুল ও উদ্ভিদকুলের ১০ শতাংশ অবলুপ্তির পথে। এর মূল কারণ হল প্রাণী ও উদ্ভিদকুলের আবাসভূমি ধ্বংস করা, নির্বিচারে গাছ কাটা, আক্রমণাত্মক প্রজাতি বেড়ে যাওয়া, প্রকৃতির উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করা, দূষণ ও আবহাওয়ার পরিবর্তন।
দেশের এক তৃতীয়ংশ শহরে বসবাসকারী মানুষ এখন বস্তিতে থাকেন।
গোটা বিশ্বে গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমনের দিক দিয়ে ভারতের অবদান মাত্র পাঁচ শতাংশ। কিন্তু দুর্ভাগ্যের ব্যাপার, দেশের ৭০ কোটি নাগরিক বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য কৃষিকাজ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। খরা, বন্যা এবং ঘন ঘন ঝড়ের জন্যও উষ্ণায়ন দায়ী। এর জন্য সামুদ্রিক জলস্তর বেড়ে গিয়ে বিপদের সৃষ্টি হচ্ছে।