গরমের সময় আমাদের গরম লাগে এবং শীতের সময় আমাদের শৈত্যানুভূতি হয়। এই ভাবে আমরা বছরের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের জলবায়ুর মোকাবিলা করি। এটাই প্রকৃতির নিয়ম। একটি নির্দিষ্ট সময়কাল ধরে একটি এলাকার গড় আবহাওয়াই হল সেই অঞ্চলের জলবায়ু। সূর্যের আলো, বৃষ্টিপাত,বায়ুপ্রবাহ, আর্দ্রতা ও তাপমাত্রা দিয়ে কোনও অঞ্চলের জলবায়ুর বিচার করা হয়ে থাকে। আবহাওয়ার পরিবর্তন হঠাৎ হয় এবং তা আমরা সহজেই ধরতে পারি। যেমন শীতের সময় টানা শীত চলতে চলতে হঠাৎ তাপমাত্রা একটু বেড়ে গেল, গরম গরম ভাব। হঠাৎ হয় তো বৃষ্টি হল। গরমের দিন সন্ধ্যাবেলায় বলা নেই, কওয়া নেই, হঠাৎ এল ঝড়। কিছু ক্ষণের জন্য চলল কালবৈশাখী। সব কিছু লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে গেল। কিংবা তৈরি হল ঘূর্ণিঝড়। এটা হল আবহাওয়ার পরিবর্তন। হঠাৎ করে ঘটল, আবার কিছু ক্ষণ বা দিন পরে সব কিছু স্বাভাবিক। কিন্তু জলবায়ুর পরিবর্তন হতে অনেকটা সময় লাগে, দীর্ঘদিন ধরে তা হয় এবং এই পরিবর্তন যে হতেই হবে এমন কোনও কথা নেই।
পৃথিবীর জন্মলগ্ন থেকেই জলবায়ুতে মাঝে মাঝে পরিবর্তন হয়েছে এবং সমস্ত ধরনের প্রাণী সেই পরিবর্তনের সঙ্গে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিয়েছে। কিন্তু গত দেড়শো-দু’শো বছর ধরে পৃথিবীর জলবায়ুর পরিবর্তন হয়েছে অত্যন্ত দ্রুত হারে এবং বিগত দশক ধরে অত্যন্ত দ্রুত হারে, যার জন্য কিছু উদ্ভিদ ও প্রাণীর পক্ষে সেই পরিবর্তন মানিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অসুবিধা হয়েছে। এই দ্রুত পরিবর্তনের জন্য মানুষ অনেকাংশে দায়ী। মানুষের নানাবিধ কার্যকলাপের জন্যই এই দ্রুত পরিবর্তন হয়েছে বলে ধরা হয়।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণগুলিকে মূলত দু’ ভাগে ভাগ করা যায় --- প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট।
বৈদ্যুতিক যন্ত্রের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের ফলে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ ক্রমশ বাড়ছে। প্রথম বিশ্বে এই সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। তৃতীয় বিশ্বে সমস্যা বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি। মানুষ যদি নিয়ন্ত্রিত পণ্যের দুনিয়ায় নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারে তার চেয়ে বড় সুবিধা আর কিছু নেই। কিন্তু তাতে বাজার অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এই দুইয়ের মেলবন্ধনই হবে সবচেয়ে গুরূত্বপূর্ণ বিষয়।
সুত্রঃ পোর্টাল কনটেন্ট টিম
সর্বশেষ সংশোধন করা : 7/11/2020