বিশ্বের ১২টি বৃহত্তম তেল ও গ্যাস কোম্পানি রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রধান বান কি মুনের প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে মিথেন নির্গমন কম করার পরিকল্পনা ছকতে একটি বৈঠকে মিলিত হয়।
এই উদ্যোগের ব্যাপারে বান কি মুন বলেন, ‘‘বাতাসে অল্প সময়ের জন্য থাকা এই দূষণকারী পদার্থের রোধে এই ধরনের উদ্যোগে আমি খুবই খুশি হয়েছি।’’ জলবায়ু নিয়ে ডাকা শীর্ষ বৈঠকের দিনই নিউইয়র্কে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সদর দফতরে তেল এবং গ্যাস মিথেন পার্টনারশিপ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। মুন আরও বলেন, ‘‘এই ঘোষণা প্রমাণ করে দিচ্ছে কী ভাবে সরকার, সংস্থা এবং নাগরিক সমাজ একযোগে দূষণ নিরোধের ব্যাপারে কাজ করতে পারে।’’ বায়ু দূষণকারী স্বল্প সময়ের দূষিত পদার্থের মধ্যে রয়েছে, মিথেন, ব্ল্যাক কার্বন এবং হাইড্রোফ্লুরোকার্বন। এই সব পদার্থ বাতাসে মিশে তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। সম্মিলিত উদ্যোগের ফলে এই নির্গমন কমলে আগামী ৩৫ বছরে ০.৬০ পর্যন্ত তাপমাত্রা বৃদ্ধি ঠেকানো যাবে। এর ফলে স্বাস্থ্যের ও খাদ্য উৎপাদনের বৃদ্ধি ঘটবে। তেল এবং গ্যাস সংক্রান্ত ক্ষেত্র থেকেই ২০ শতাংসের বেশি মিথেন নির্গমন হয়। এর পরই রয়েছে কৃষি ক্ষেত্র। যে সব কোম্পানি ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রসঙ্ঘের আহ্বানে সাড়া দিয়েছে সেগুলি হল ইতালির ইএনআই, মেক্সিকেোর পেমেক্স, আমেরিকার সাউথওয়েস্টার্ন এনার্জি, নরওয়ের স্টাটয়েল গ্রুপ, ব্রিটেনের বিজি গ্রুপ, থাইল্যান্ডের পিটিটি। বৃহত্তর তেল ও গ্যাস উৎপাদনকারী যে সব দেশ এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে তার মধ্যে রয়েছে মেক্সিকো, নাইজেরিয়া, নরওয়ে, রাশিয়া এবং আমেরিকা। এই বৈঠকে কঠিন পৌরবর্জ্য জনিত দূষণ ঠেকানো নিয়েও আলোচনা হয়। ২০২০-র মধ্যে ২৫টিরও বেশি শহরে এ ব্যাপারে কী অ্যাকশন প্ল্যান নেওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পরের বার এই অ্যাকশন প্ল্যানে ৫০টি শহরকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। ২০২০-র মধ্যে বিশ্বের ১৫০ শহরে এই অ্যাকশন প্ল্যান ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। শেষ পর্যন্ত মোট ১ হাজার শহরকে এই পরিকল্পনার আওতাভুক্ত করাই লক্ষ্য স্থির হয়েছে। কঠিন পৌরবর্জ্য বাতাসে মেশা মিথেনের ১১ শতাংশ ছড়ায় বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত।
গোটা বিশ্বে যতটা গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমণ হয় তার ২২ শতাংশই পরিবহণ ক্ষেত্রের অবদান। এর মধ্যে ১৯ শতাংশই হল ব্ল্যাক কার্বন।
সূত্র : ইউনাইটেড নেশন সাইট অন ক্লাইমেট চেঞ্জ
সর্বশেষ সংশোধন করা : 4/27/2020