প্রথাগত পরিবেশ দূষণের মধ্যে পড়ে জল দূষণ, বায়ু দূষণ, তেজস্ক্রিয় বিকিরণ প্রভৃতি। কিন্তু বৃহত্তর পরিপ্রেক্ষিতে দূষণের মধ্যে রয়েছে জাহাজ জনিত দূষণ, আলোর দূষণ এবং শব্দের দূষণ।
কোলাহলকে সংজ্ঞার দিক দিয়ে দেখলে বলা যায় অপ্রয়োজনীয় শব্দ। এটি ক্রমশ বাড়ছে। বায়ু দূষণের ক্ষেত্রে এটি একটি প্রধান ভূমিকা নেয়।
শব্দ বায়ুর মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয় ফলে বাতাসের গুণমান দিয়ে এর প্রভাব বোঝা যায়। শব্দ মাপা হয় ডেসিবল দিয়ে। বিশেষজ্ঞরা বলেন প্রতিনিয়ত ৯০ ডেসিবলের উপর শব্দ উদ্গিরন হলে তা শোনার ক্ষমতার উপর বিপরীত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে এবং স্নায়ুতন্ত্রের উপর পাকাপাকি প্রভাব ফেলে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) একটি শহরের ক্ষেত্রে ৪৫ ডেসিবলকে নিরাপদ শব্দমাত্রা হিসাবে স্থির করেছে। ভারতে মেট্রোপলিটান এলাকায় শব্দের মাত্রা অনেক সময়ই গড়পড়তা ৯০ ডেসিবলের বেশি থাকে। বিশ্বের মধ্যে কোলাহলের দিক দিয়ে মুম্বইকে তৃতীয় দূষিত শহর হিসাবে গণ্য করা হয়। দিল্লি তার খুবই কাছাকাছি রয়েছে।
শব্দ দূষণ কেবলমাত্র অস্বস্তি বা বিরক্তি বাড়ায় তা নয়, এর ফলে ধমনীর গতিপথও রুদ্ধ হয় এবং অ্যাড্রিনালিন প্রবাহ বৃদ্ধি করে যা কিনা হৃদযন্ত্রকে দ্রুত কাজ করতে বাধ্য করে। ক্রমাগত শব্দ কোলোস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় এর ফলে ধমনীর পাকাপাকিভাবে ক্ষতি হয় যে কারণে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের সম্ভাবনা বাড়ে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, অতিরিক্ত শব্দ নিউরোসিস এবং নার্ভাস ব্রেডকাউনেরও কারণ।
বিষাক্ত দ্রব্য লেক, জলস্রোত, নদী, সমুদ্র বা অন্য কোনও জলাশয়ে গিয়ে পড়লে তা জলের সঙ্গে দ্রবীভূত হয়ে যায় বা ভাসতে থাকে অথবা জলাশয়ের তলদেশে গিয়ে জমা হয়। এর ফলে জল দূষিত হয় এবং জলের গুণমান নষ্ট হয়। এর কারণে জলজ পরিবেশতন্ত্র নষ্ট হয়ে যায়। দূষিত পদার্থ মাটির ভিতর ঢুকে ভূগর্ভস্থ জলস্তরেরও ক্ষতি করে।
জল দূষণ শুধু মানুষ নয়, প্রাণীজগতেরও ক্ষতি করে। মাছ, জীবজন্তু, পাখিও জল দূষণের ফলে সঙ্কটের মুখে পড়ে। দূষিত জল একেবারেই পানযোগ্য নয়। তা বিনোদন, কৃষিক্ষেত্র ও শিল্পের কাজেও ব্যবহার করা যায় না। জল দূষণের ফলে লেক ও নদীর নান্দনিকতাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সূত্র : যোজনা, জানুয়ারি ২০১৫
সর্বশেষ সংশোধন করা : 4/24/2020
বায়ু দূষণ ও রাসায়নিক দূষণ এখানে আলোচনা করা হয়েছে।
শব্দের তীব্রতা, গভীরতা, প্রখরতা সম্পর্কে সংক্ষেপে ...
কী করে শব্দের সৃষ্টি হয় তা এখানে ব্যাখ্যা করা হয়েছ...
কী করে আমরা শব্দ শুনি তা এখানে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।