পাতলা প্লাস্টিক ব্যাগগুলির মূল্য খুবই কম এবং এগুলিকে আলাদা করা খুবই কষ্টকর। যদি প্লাস্টিক ব্যাগ যদি পুরু বা মোটা করা যায় তা হলে এই ব্যাগের দাম বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেবে এবং এর ব্যবহারও তখন সীমিত হয়ে যেতে পারে। প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ এবং তা নষ্ট করে দেওয়ার কাজে প্লাস্টিক ম্যানুফ্যাকচারার অ্যাসোসিয়েশন এবং কাগজ কুড়ানিদের নেওয়া যেতে পারে। পৌরসভা এলাকাগুলিতে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ফেলে দেওয়া প্লাস্টিকের ব্যাগ, জলের বোতল, প্লাস্টিকের পাউচ বিরাট চ্যালেঞ্জের সৃষ্টি করে। সিকিম, জম্মু-কাশ্মীরের মতো বেশ কয়েকটি পাহাড়ি রাজ্য এবং পশ্চিমবঙ্গের পাহাড়ি এলাকার পর্যটনস্থলে প্লাস্টিক ব্যাগ ও বোতলের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। হিমাচল প্রদেশের সরকার রাজ্য মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ‘এইচপি নন-বায়োডিগ্রেডেবল গারবেজ (কন্ট্রোল) অ্যাক্ট ১৯৯৫’ আইনটিকে ব্যবহার করে ২০০৯ সালের ১৫ আগস্ট থেকে গোটা রাজ্যেই প্লাস্টিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে দিয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারও প্লাস্টিক থেকে পরিবেশের কী ক্ষতি হতে পারে তার একটি সমীক্ষা করিয়েছে। এর জন্য একটি পরামর্শদাতা কমিটি এবং টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে যারা পুরো পরিস্থিতি বুঝে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবে।
১৯৯৯ সালে পরিবেশ এবং বন মন্ত্রক একটি রিসাইকেলড প্লাস্টিকস ম্যানুফ্যাকচার অ্যান্ড ইউসেজ রুল নামক বিধি তৈরি করে। পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের (১৯৮৬) আওতায় ২০০৩ সালে এটিকে সংশোধিত করা হয়। এই আইনে প্লাস্টিকের ব্যাগ ও কন্টেনার ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে নীতিনির্দেশ জারি করা হয়েছে। ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস (বিস) বায়েডিগ্রেডবল প্লাস্টিকের জন্য দশটি মান নির্ধারণ করেছে।
প্লাস্টিক ব্যাগের বিকল্প হিসাবে কাপড়ের এবং পাটের ব্যাগ ব্যবহার করার ব্যাপারে উৎসাহিত করা দরকার। এবং এই কাপড়ের এবং পাটের ব্যাগ উৎপাদনের ব্যাপারে কিছু আর্থিক সুবিধাও দেওয়া দরকার। মনে রাখতে হবে কাগজের ব্যাগ তৈরি করার জন্য কিন্তু গাছ কাটতে হয়। তাই এর উৎপাদনও নিয়ন্ত্রিত। সব চেয়ে ভালো হয় বায়োডিগ্রেডবল প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যবহার করলে এবং প্রকৃতিতে আত্মসাৎ হতে পারে এমন ‘বায়েডিগ্রেডবল’ প্লাস্টিক তৈরির জন্য গবেষণা চলছে।
সূত্র : পিআইবি
সর্বশেষ সংশোধন করা : 9/28/2019