সেল ফোন থেকে কন্ঠস্বরের মাধ্যমে বা টেক্সট ম্যাসেজের মাধ্যমে অন্য কলারের কাছে বিকিরণ পৌঁছে যায়। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্যজনিত ঝুঁকি এখনও তেমন স্পষ্ট করে জানা যায়নি, কিন্তু কিছু কিছু সমীক্ষা বলছে যাঁরা ঘন ঘন মোবাইল ফোনে কথা বলেন তাঁদের ব্রেন বা মুখে টিউমার হতে পারে। শুধু তা-ই নয় বাচ্চাদের ক্ষেত্রে আচরণগত সমস্যাও দেখা দিতে পারে। নিরাপদে থাকার জন্য নিম্নলিখিত পদ্ধিতগুলি মেনে বিকিরণ এড়ানোর চেষ্টা করুন-
আপনার সেল ফোনে কতটা বিকিরণ হয়, বোঝার চেষ্টা করুন। যদি আপনার সেল ফোনে বিকিরণের পরিমাণ বেশি হয় তা হলে ফোন বদলে কম বিকিরণ হয় এমন ফোন কিনুন।
ফোনের চেয়ে হেড সেটে অনেক কম বিকিরণ হয়। কিছু তারবিহীন হেড সেটে প্রতিনিয়ত খুবই কম মাত্রার বিকিরণ হয়। সুতরাং যখন কথা বলছেন না তখন কান থেকে হেড সেটটি খুলে ফেলুন। স্পিকার মোডে কথা বললেও বিকিরণের প্রভাব থেকে কিছুটা মুক্তি পাওয়া যায়।
বেশি শোনা এবং কম কথা বলা বিকিরণের মাত্রা কম রাখতে সাহায্য করে। আপনি যখন কথা বলেন বা টেক্সট ম্যাসেজ পাঠান তখন বেশি বিকিরণের প্রভাবে পড়েন। কিন্তু টেক্সট ম্যাসেজ পড়ার সময় বা শোনার সময় অতটা বিকিরণের প্রভাব থাকে না।
হেড সেট বা স্পিকারের সাহায্যে দেহের থেকে দূরে ফোনটি রেখে কথা বললে বিকিরণের হাত থেকে কিছুটা রক্ষা পাওয়া যায়। পকেটে, দেহের সঙ্গে সংযুক্ত বেল্টে বা কানে ফোন রেখে কথা বলবেন না। কারণ এতে দেহের নমনীয় কোষগুলি বিকিরণের শিকার হয়।
কথা বলার চেয়ে ম্যাসেজ পাঠালে কম শক্তি (কম বিকিরণ) খরচ হয়। কানে ফোন না থাকায় টেক্সট ম্যাসেজ পাঠালে কানের মধ্যে বিকিরণ প্রবেশ করতে পারে না।
যদি আপনার ফোনে সিগন্যাল বার কম থাকে তা হলে জানবেন বিকিরণের পরিমাণ বাড়বে। সে ক্ষেত্রে ফোন ব্যবহার না করাই ভালো। যখন সিগনাল ঠিকঠাক থাকবে তখনই ফোন করুন।
বাচ্চাদের মস্তিষ্কে বড়দের তুলনায় দ্বিগুণ ফোনজনিত বিকিরণ শোষিত হয়। নিতান্ত জরুরি প্রয়োজন না থাকলে ছোটদের ফোন ব্যবহার করতে দেবেন না। এনভায়রনমেন্টাল ওয়ার্কিং গ্রুপ (ইডাবলুজি) কমপক্ষে ৬টি দেশে বিভিন্ন হেলথ এজেন্সির সঙ্গে যুক্ত হয়ে এই প্রচার চালাচ্ছে। ৮। ‘বিকিরণ আস্তরণ’ ব্যবহার করবেন না -- কি প্যাড কভার বা অ্যান্টেনার ক্যাপ ব্যবহার করবেন না। কারণ এর ফলে ট্রান্সমিশনের গুণমান খারাপ হয়। ফলে ফোন থেকে অনেক বেশি মাত্রায় বিকিরণ বর হয়।
সূত্র : http://www.ewg.org/cellphoneradiation/5-Safety-Tips
সর্বশেষ সংশোধন করা : 4/29/2020