গ্রামের কয়েকটি অঞ্চলে গোষ্ঠীর কুয়ো বানান। ওই কুয়োর ১০-২০ ফুটের মধ্যে একটি হ্যান্ড পাম্প যুক্ত ‘বোর ওয়েল’ বসান। গ্রামবাসীকে বোঝান যাতে সব সময় ওই কুয়ো ও বোর ওয়েল সন্নিহিত এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা যায়। এখানে কোনও রকম ধোওয়া (গাড়ি ধোওয়া, গবাদি পশু স্নান করানো, কাপড় কাচা ইত্যাদি) বা নোংরা হওয়ার মতো কোনও রকমকাজ করা চলবে না। যদি গ্রামে কোনও জলাশয় থাকে তা হলে প্রতি তিন বছর অন্তর তা পরিষ্কার করা, মাটি তোলার ব্যবস্থা করুন। যদি ছোট নদী বা ধারাস্রোত থাকে তা হলে চেক ড্যাম বসানোর ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এই ব্যবস্থাগুলির মাধ্যমে বৃষ্টির জল আটকানো যায়। এ ছাড়া ছাদে বৃষ্টির জল সংরক্ষণেরও ব্যবস্থা করার জন্য গ্রামবাসীদের অনুপ্রাণিত করুন।
গ্রামীণ এলাকায় জল সম্পদ সংরক্ষণর ব্যাপারে পঞ্চায়েতের ভূমিকা অনস্বীকার্য। পুকুর,খাল,বিল,জলা বা ডোবা সংস্কারে সামূহিক উদ্যোগে পঞ্চায়েত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। শুধুমাত্র পঞ্চায়েতের মাধ্যমে কাজ করানো নয়, পঞ্চায়েত প্রচার এবং সংবেদনশীলতা তৈরির কাজেও গুরূত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। এ ব্যাপারে পঞ্চায়েতের কার্যনির্বাহীদের প্রশিক্ষিত করে তোলা প্রয়োজন।
গ্রামের স্কুলের ছাদে বৃষ্টির জল ধরে রাখার পদ্ধতিটি কম খরচের। ভারতে বহু বছর ধরে এই প্রযুক্তি চলছে। গত দু’দশক ধরে ‘বেয়ারফুট কলেজ’ ১৫টি রাজ্যের প্রত্যন্ত গ্রামে স্কুলের ছাদ থেকে বৃষ্টির জল সংগ্রহ করে এবং তা ভূগর্ভস্থ ট্যাঙ্কে ধরে রেখে ৩ কোটি ২০ লক্ষ মানুষের জলের চাহিদা মেটাচ্ছে। যে সব গ্রামীণ এলাকায় পানীয় জল পাওয়ার সমস্যা রয়েছে সেখানেই এই ধরনের কাজে উৎসাহিত করা হয়।
বৃষ্টির জল সংরক্ষণের কাঠামো দু’টি উদ্দেশ্য সিদ্ধি করে ---
সুত্রঃ PIB,GoI
সর্বশেষ সংশোধন করা : 7/7/2020