পূর্ব ভারতে এই প্রথম সৌরবাতি দিয়ে পার্ক সাজানো হল৷ আগামী এক বছরের মধ্যে শহরের ৩০০ পার্কে সৌরবাতি লাগাতে রাজ্য সরকার আর্থিক অনুদান দেবে৷ বৃহস্পতিবার এ-কথা জানান বিদ্যুৎ ও অচিরাচরিত শক্তি দপ্তরের মন্ত্রী মণীশ গুপ্ত৷ বলেন, তবে কতটা কীভাবে দেওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধাম্ত নেওয়া হবে৷ এর ফলে সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা বিদ্যুৎ-খরচ সাশ্রয় হবে৷ শহরে ও গ্রামে সৌরবিদ্যুতের ব্যবহার বাড়াতে রাজ্য সরকার নীতিগত সিদ্ধাম্ত নেবে৷ এর জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ভতর্ুকি দেওয়া হবে৷ বাড়ি বা স্কুল যেখানে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার বাড়লে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের পাশাপাশি খরচও বাঁচবে৷ সে-ক্ষেত্রে সরকারের তরফ থেকে ভতর্ুকি দেওয়া হবে৷ এদিন দেশপ্রিয় পার্কে সৌরবাতির উদ্বোধন করেন কলকাতা পুরসভার মহানাগরিক শোভন চ্যাটার্জি৷ বলেন, পরিবেশ-দূষণ রুখতে শহরের পার্কগুলিতে সৌরবাতি লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়৷ প্রথম পর্যায়ে দেশপ্রিয় পার্কে লাগানো হল৷ মেয়র পারিষদ (উদ্যান) দেবাশিস কুমার জানান, ৫৮টি সোলার প্যানেল বসানো হয়েছে৷ প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা খরচ করে পার্কটি সৌরবাতি দিয়ে সাজানো হয়েছে৷ রাতে হ্যালোজেনের জোরালো আলোয় পার্কে পাখি ও ছোট ছোট কীটপতঙ্গের অসুবিধে হয়৷ ব্যাহত হয় ওদের সাধারণ জীবনযাত্রা৷ তাই পুরসভার পক্ষ থেকে সৌর আলো লাগানোর সিদ্ধাম্ত নেওয়া হয়৷ প্রথম পর্যায়ে দেশপ্রিয় পার্কে লাগানো হল৷ পরিবেশ-দূষণ এবং বিদ্যুৎ-সাশ্রয়ও হবে৷ ধীরে ধীরে শহরের অন্য পার্কগুলিতেও লাগানো হবে সৌরবাতি৷ ছিলেন পঞ্চায়েত, গ্রামোন্নয়ন এবং জনস্বাস্হ্য কারিগরি দপ্তরের মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি, সাংসদ সুব্রত বক্সি, বরো ৮-এর চেয়ারম্যান দুর্গাপ্রসাদ মুখার্জি৷
সোলার মিশন প্রকল্প চালু হওয়ার পর থেকে প্রতিটি রাজ্য সরকার প্রায় প্রতিযোগিতামূলকভাবে সৌরশক্তি ব্যবহারের উপযোগী প্রকল্প খুঁজে বের করছে বা তা রূপায়ন করার ব্যবস্থা করছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারও তার ব্যতিক্রম নয়। এ প্রসঙ্গে মনে রাখা দরকার পশ্চিমবঙ্গ সরকার সর্বপ্রথম দূরতম এবং প্রত্যন্ত গ্রামে সৌর বিদ্যুতের স্থানীয় বণ্টন কেন্দ্র তৈরি করে তার মাধ্যমে গ্রামে বিদ্যুৎ ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল।
সূত্র : আজকাল, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
সর্বশেষ সংশোধন করা : 2/14/2020