শহরের সরকারি বহুতলে সৌর-কোষ বসানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ। সাফল্য মিললে তা ছড়িয়ে দেওয়া হবে জেলাতেও। এ জন্য রাজ্যে সৌরবিদ্যুৎ নীতি গড়তে চলেছে সরকার। অপ্রচলিত শক্তি সংক্রান্ত এক অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎমন্ত্রী মণীশ গুপ্ত এ কথা জানান। মন্ত্রী আরও জানান, বাড়ির ছাদে সৌর-কোষ বসালে বিদ্যুৎ বিলে বিশেষ ছাড় দেওয়ার পরিকল্পনাও নিতে চলছে বিদ্যুৎ দফতর। তিনি বলেন, “আলোচনা চলছে। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য ক্যাবিনেটে পেশ করা হবে।” দেশের অপ্রচলিত শক্তি উৎপাদনের নিরিখে অনেক পিছিয়ে এই রাজ্য। ওই মন্ত্রকের অধিকর্তা জি প্রসাদ বলেন, “এ রাজ্যে এক মেগাওয়াটও অপ্রচলিত শক্তি তৈরি হয় না।” পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উন্নয়ন সংস্থা ওয়েবরেডা সূত্রে খবর, রাজ্যে অপ্রচলিত শক্তি উৎপাদন কার্যত নেই। দিন কয়েক আগে হাইকোর্টে এক মামলায় ওয়েবরেডা তা হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে। তবে সেই ছবিটা দ্রুত বদলাতে নতুন নীতি তৈরি করা হয়েছে। মণীশবাবু জানান, বহুতলে বসানো সৌর প্যানেল থেকে যত ইউনিট বিদ্যুৎ তৈরি হবে, তা ভবনের বিল থেকে বাদ যাবে। প্রযুক্তির ভাষায় যাকে নেট মিটারিং বলে। নেট মিটারিং-এর বিলের উপরেও ২০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে।
ওয়েবরেডা-র ডিরেক্টর এবং অপ্রচলিত শক্তি বিশেষজ্ঞ শান্তিপদ গণচৌধুরী জানান, আগামী বছরের মধ্যে এই প্রকল্পের প্রাথমিক কাজ শেষ হবে। প্রথম বছর ৫ মেগাওয়াট উৎপাদন করা হবে। পরে পাঁচ বছরের মধ্যে সেটিকে ৩০ মেগাওয়াটে নিয়ে যাওয়া হবে। মন্ত্রী জানান, অপ্রচলিত শক্তি নিয়ে হাওড়ায় একটি গবেষণা কেন্দ্র তৈরি করা হবে। দিঘা ও পুরুলিয়ায় অপ্রচলিত শক্তি উৎপাদন কেন্দ্র গড়া হবে।
বস্তুত মোদী সরকারও গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছনোর জন্য আপাতত অপ্রচলিত শক্তির উপরেই ভরসা করছে। জি প্রসাদ জানান, বিভিন্ন প্রান্তের ১০০০ গ্রামে এই পর্যায়ে বিদ্যুৎ পৌঁছনোর পরিকল্পনা আছে। তার সাফল্যের উপরে ভিত্তি করে পরবর্তী পরিকল্পনা নেওয়া হবে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা ২৫ জুন ২০১৪
সর্বশেষ সংশোধন করা : 7/7/2020