পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির অন্যতম ঘোষিত লক্ষ্য হল গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন ভাবে গুণগত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা। এই ঘোষিত লক্ষ্য অনুযায়ী ইতিমধ্যেই বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। নতুন নতুন ৩৩/১১ কেভি সাব-স্টেশন ইতিমধ্যেই তৈরি করা হয়েছে ও আগামী দিনে এই ধরনের আরও সাব-স্টেশন, বিশেষ করে গ্রামীণ অঞ্চলে স্থাপন করা হবে। উচ্চচাপ ও নিম্নচাপ বিশিষ্ট তার ও ডিস্ট্রিবিউশন ট্রান্সফরমারগুলির যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। লোডশেডিং এখন অতীতের ঘটনা। বিদ্যুৎ পরিষেবা সংক্রান্ত গ্রাহকদের অভিযোগও অনেক কমেছে। বিশেষত গ্রাম বাংলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে যে সব অভিযোগ আসত তার পরিমাণ দ্রুত কমছে।
নতুন কানেকশন দেওয়ার ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। নতুন কানেকশনের দরখাস্ত করার সঙ্গে সঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপগুলি যাতে দ্রুততার সঙ্গে কার্যকর হয়, সেই জন্য সর্বদা নজর রাখা হচ্ছে। এর ফলে কানেকশন পাওয়ার জন্য সময়সীমা উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে গিয়েছে। এ ছাড়াও গ্রামীণ বিদ্যুদয়ন প্রকল্পের আওতায় নতুন কানেকশনের জন্য বিপিএল শ্রেণির ক্ষেত্রে অর্থাৎ দারিদ্রসীমার নীচে যাঁরা বসবাস করেন তাঁদের কাছ থেকে কোনও অর্থ নেওয়া হচ্ছে না। এপিএলদের ক্ষেত্রে অর্থাৎ দারিদ্রসীমার উপরে যাঁরা রয়েছেন তাঁদের কানেকশন দেওয়ার সময় কিস্তিতে অর্থ নেওয়া হচ্ছে। বিদ্যুতের জন্য দরখাস্ত ইন্টারনেটের মাধ্যমে গ্রহণ করার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
বাড়িতে নতুন এয়ার কন্ডিশন মেশিন বসালে অনেকেই কী করতে হবে তা ভুলে যান। এর ফলে বড়সড় বিপদের সম্ভাবনা থেকে যায়। প্রথমত, স্থানীয় কানেকশন এয়ার কন্ডিশনিং এর লোড টানতে অক্ষম। ফলে অতিরিক্ত বিদ্যুতের প্রয়োজন পড়লে লাইন বার্স্ট করে সমস্যা হতে পারে। যো কারণে বণ্টন কোম্পানি থেকে বারবার বলা হয়েছে, এয়ারকন্ডিশনিংয়ের কাজ শুরু করার আগে বিদ্যুৎ প্রদানকারী সংস্থাকে জানাতে হবে। সেই সংস্থা খতিয়ে দেখবে ওই জায়গায় লোড নেওয়ার মতো অবস্থা রয়েছে কিনা। তা যদি না থাকে তাহলে অতি অবশ্যই তারা লাইন চেঞ্জ করবে।
সূত্র : পঞ্চায়েতী রাজ, জানুয়ারি ২০১৫
সর্বশেষ সংশোধন করা : 5/29/2020