রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি হওয়ার আগে বিদ্যুৎ বণ্টন এবং বিদ্যুৎ সরবরাহের দায়ভার একটি কোম্পানির হাতেই ছিল তার নাম ছিল রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ। কিন্তু এই ধরনের পর্ষদগুলি ক্রমাগত লোকসানে চলতে থাকায় তার দিশা পরিবর্তনের প্রয়োজন পড়ে। বিদ্যুৎ উৎপাদন,সংবহন ও বণ্টনকে তিনটি আলাদা কোম্পানির হাতে সমর্পন করা হয়। ফলে তিনটি আলাদা কোম্পানিই স্বতন্ত্রভাবে বিদ্যুতের জন্য মাশুল নির্ধারণ করতে সক্ষম হয়। যে কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ জনিত আয় অনেকটাই বাড়ে এবং কোম্পানিগুলি নিজের পায়ে দাঁড়াতে সক্ষম হয়।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির মূল লক্ষ্য হল ১০০ শতাংশ গ্রাহক পরিষেবা এবং সেই সঙ্গে উন্নত মানের বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রদান। গ্রাহকদের সুবিধার্থে সারা রাজ্যেই ই-পরিষেবা চালু হয়েছে। আর বিদ্যুৎ পরিষেবা এখন পাওয়া যায় সহজে ও সুলভে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি লো অ্যান্ড মিডিয়াম ভোল্টেজ গ্রাহকদের জন্য চালু করেছে স্পট বিলিংয়ের ব্যবস্থা। ফলে গ্রাহকদের বিল পাওয়ার বিষয়টি সুনিশ্চিত করা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির ওয়েবসাইটে গ্রাহক পরিষেবা সংক্রান্ত নানাবিধ তথ্য থাকছে।
২০০৩-এর বিদ্যুৎ আইন অনুযায়ী ২০০৭ সালের ১ এপ্রিল ওয়েস্টবেঙ্গল স্টেট ইলেকট্রিসিটি ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি তৈরি হয়। শুরু থেকেই কোম্পানির প্রধান ঘোষিত লক্ষ্য উন্নততর গ্রাহক পরিষেবা। এই লক্ষ্য সামনে রেখে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি গ্রাহকদের জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ সুনিশ্চিত করেছে। এগুলি হল, গুণগত ও নিরবচ্ছিন্ন ভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ সুনিশ্চিত করা; নতুন কানেকশন দেওয়ার পদ্ধতির সরলীকরণ; কাস্টমার কেয়ার অফিসের আধুনিকীকরণ; পরিষেবা মেলা; গ্রাহকদের অভাব অভিযোগ সুরাহার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা; ভ্রাম্যমান পরিষেবা যান; অনলাইনে বিদ্যুৎ বিলের অর্থ জমা দেওয়া; জোনাল কল সেন্টার এবং লো অ্যান্ড মিডিয়াম ভোল্টেজ গ্রাহকদের জন্য স্পট বিলিং-এর ব্যবস্থা।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৫০ লক্ষ। এই সমস্ত গ্রাহককে নতুন ও উন্নততর পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত। গ্রাহক পরিষেবার ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি সর্বোত্তম ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়।
সূত্র : পঞ্চায়েতী রাজ, জানুয়ারি ২০১৫
সর্বশেষ সংশোধন করা : 12/21/2019