গ্রামীণ পরিবারে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার জন্য রচিত হয় একটি কর্মসূচি। নাম, ওয়েস্টবেঙ্গল রুরাল হাউসহোল্ড ইলেকট্রিফিকেশন (ডবলুবিআরআইপি)। এটি রাজ্য সরকারের আর্থিক সহায়তায় গঠিত একটি প্রকল্প। এই কর্মসূচি অনুসারে চারটি জেলায় (পূর্ব মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, উত্তর ২৪ পরগনা এবং জলপাইগুড়ি) ডবলুবিএসইডিসিএল ৭৬৩৬টি গ্রামের ৫.৪৩ লক্ষ বিপিএল পরিবারে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছে। রাজীব গান্ধী গ্রামীণ বৈদ্যুতীকরণ যোজনা (আরজিজিভিওয়াই) প্রকল্প অনুসারে পাড়াভিত্তিক ১০০ বা তার কম জনসংখ্যা গ্রামীণ বৈদ্যুতীকরণের আওতায় আসেনি। সেই জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সহায়তায় ওয়েস্টবেঙ্গল রুরাল হাউসহোল্ড ইলেকট্রিফিকেশন প্রোগ্রাম (সাপ্লিমেন্টারি) প্রকল্পটি সবক’টি জেলায় রূপান্তরিত করেছে ডাবলুবিএসইডিসিএল। ১৮৯৪টি মৌজার ৬৭৯৯৩টি বিপিএল পরিবারে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া সম্পূর্ণ হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সহায়তায় ওয়েস্টবেঙ্গল রুরাল হাউসহোল্ড ইলেকট্রিফিকেশন প্রোগ্রাম (ব্যালান্স) নামে আরেকটি প্রকল্প ডাবলুবিএসইডিসিএল গ্রহণ করেছে কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলায়। এই প্রকল্পে ১০৩৩টি মৌজায় ১,৩০,২১১টি বিপিএল পরিবারে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে।
দার্জিলিং জেলার পার্বত্য অঞ্চলের জন্য রাজীব গান্ধী গ্রামীণ বৈদ্যুতীকরণ যোজনার (একাদশ পরিকল্পনা, ফেজ-২) অধীনে ৩০৬টি মৌজায় ২৪,৪২৩টি বিপিএল পরিবারে বিদ্যুৎ সংযোগ এবং কালিম্পং ও কার্শিয়াঙে দু’টি ৩৩/১১ কেভি সাব স্টেশন নির্মাণের কাজ জিটিএ কর্তৃক শুরু হয়েছে যা ডিসেম্বর ২০১৫-র মধ্যে সম্পূর্ণ হবে।
পশ্চিমবাংলায় গ্রামীণ বৈদ্যুতীকরণে এই বিশাল কর্মকাণ্ডের দ্রুত চাহিদা পূরণের জন্য এবং সমস্ত গ্রাহককে নিরবচ্ছিন্ন উচ্চমানের বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সারা রাজ্যে ৩৩/১১ কেভি সাব স্টেশন নির্মাণ এবং চালু ৩৩/১১ কেভি সাব স্টেশনগুলির ক্ষমতা বৃদ্ধির উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
ডবলুবিএসইডিসিএলের টাকায় সাতটি জেলায় ৩০টি কার্যকর ৩৩/১১ কেভি সাব স্টেশনের ক্ষমতাবৃদ্ধির কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। বিভিন্ন প্রকল্পে সর্বমোট ৫৪টি নতুন ৩৩/১১ কেভি সাব স্টেশন নির্মাণের কাজ মঞ্জুর হয়েছে। যেমন ৯টি জেলায় রুরাল ইলেকট্রিসিটি ব্যাকবোন (আরইডিবি-১ এবং ২) প্রকল্প, ৫টি জেলায় আরজিজিভিওয়াই(একাদশ পরিকল্পনা) প্রকল্প এবং ১১টি জেলায় বিআরজিএফ প্রকল্প। এই ৫৪টি নতুন সাব স্টেশনের মধ্যে ১৮টি সাব স্টেশন স্থাপিত হয়েছে এবং ২২টির কাজ চলছে। বাকি ১৪টি সাব স্টেশনের কাজ শীঘ্র শুরু হবে।
সূত্র : পঞ্চায়েতী রাজ, জানুয়ারি ২০১৫
সর্বশেষ সংশোধন করা : 5/9/2020