রাজ্যের বাকি সাতটি জেলায় রাজীব গান্ধী গ্রামীণ বৈদ্যুতীকরণ যোজনা (আরজিজিভিওয়াই দ্বাদশ পরিকল্পনা) নামে আরইসি লিমিটেড কর্তৃক আর একটি প্রকল্প শুরু হয়েছে। এর জন্য বিভিন্ন টার্ন কি এজেন্সিকে নোটিশ অফ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে। আরইসি প্রকল্পের শর্ত অনুসারে ৫,৭০৬টি মৌজায় কাজ দ্রুত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে এবং ২.৫১ লক্ষ বিপিএল বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থির হয়েছে। আরইসি লিমিটেড এই কাজের জন্য ৬০,৯৬০.৮৩ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করেছে। যে হেতু আরইসি প্রকল্পের অধীনে এপিএল বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কোনও সুযোগ নেই তাই পশ্চিমবঙ্গ সরকার নীতিগত ভাবে রাজি হয়েছে এই প্রকল্পের ৩.৪৪ লক্ষ এপিএল বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য ৯৮.৯১ কোটি টাকা বরাদ্দ করতে। এই প্রকল্পটি সম্পূর্ণ হলে এই সাতটি জেলার কোনও বাড়িই বিদ্যুৎ সংযোগের বাইরে থাকবে না। এই প্রকল্প সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে মার্চ ২০১৬, যাতে গোটা রাজ্যে শতকরা একশো ভাগ বিদ্যুতায়ন প্রকল্প সম্পূর্ণ হয়।
সম্ভাব্য সক্ষম গ্রাহকদের কম খরচে এবং বাধাহীন সংযোগ দেওয়ার জন্য ডবলুবিএসইডিসিএল ওয়েস্টবেঙ্গল ইলেকট্রিসিটি রেগুলেটরি কমিশনের অনুমোদনক্রমে একটি নতুন প্রকল্প চালু করেছে যাতে বিপিএল ক্যাটাগরির বাইরে যে নিম্ন আয়ের গ্রাহক রয়েছে তাদের মাত্র ৩৭৯ টাকায় (ন্যূনতম) বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে। এই প্রকল্পে বিপিএল গ্রাহক বিনা খরচে বিদ্যুৎ পাবেন। এ ছাড়াও এই প্রকল্পে সংযোগ দেওয়ার জন্য যদি অতিরিক্ত পোলের প্রয়োজন হয় তবে তার জন্য কোনও টাকা দিতে হবে না।
পশ্চিমবঙ্গে রাজীব গান্ধী গ্রামীণ বৈদ্যুতীকরণ যোজনার কাজ শুরুর আগে রাজ্য সরকার নিজস্ব উদ্যোগে গ্রামে বিদ্যুৎ পাঠানোর ব্যবস্থা করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছিল। এর জন্য রাজ্য সরকার গ্রামীণ বৈদ্যুতীকরণ নিগম চালু করে। পরে রাজীব গান্ধী গ্রামীণ বৈদ্যুতীকরণ যোজনা চালু হওয়ায় নিগম তার গুরুত্ব হারায় তার কারণ গ্রামীণ বৈদ্যুতীকরণের কাজটি রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তরের হাতেই সমর্পিত হয়। রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানিই এই কাজ এগিয়ে নিয়ে যায়।
সূত্র : পঞ্চায়েতী রাজ, জানুয়ারি ২০১৫
সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/30/2020