বিদ্যুৎ সংক্রান্ত নানা ধরনের সমস্যা মোকাবিলায় ওমবাডসম্যনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নয়া বিদ্যুৎ আইনে ওমবাডসম্যানের হাতে প্রচুর ক্ষমতা ন্যস্ত করা হয়েছে। আগে গ্রাহকরা কোনও কারণে বিদ্যুৎ বণ্টনকারী সংস্থার সিদ্ধান্ত বা কাজে অখুশি হলে সরাসরি আদালতে গিয়ে মামলা করত। কিন্তু নতুন আইনে বলা হয়েছে, বণ্টনকারী সংস্থার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে তা সরাসরি আদালতে নিয়ে যাওয়া যাবে না। গোড়ায় সংশ্লিষ্ট কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে হবে,পরে তা পেশ করতে হবে মধ্যস্থতাকারী ওমবাডসম্যানের কাছে। তিনি সবদিক বিবেচনা করে যে রায় দেবেন তাকেই চূড়ান্ত বলে মানে হবে। ওমবাডসম্যানের আয়ের বিরুদ্ধে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য হাই কোর্টের দ্বারস্থ হওয়া যায়।
গ্রাহক যদি জন অভিযোগ নিষ্পত্তি আধিকারিকের সমাধানে সন্তুষ্ট না হন সে ক্ষেত্রে তিনি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার ঠিক করা ওমবাডসম্যানের কাছে অভিযোগ জানাতে পারবেন। অভিযোগ জানানোর সময় পূর্বের অভিযোগের সমস্ত কপি ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাগজপত্র সঙ্গে দিতে হবে।ওমব্যাডসম্যানের কাছে আবেদনপত্র পাঠানোর ঠিকানা—
অফিস অফ দ্য ওমবাডসম্যান
ওয়েস্ট বেঙ্গল ইলেক্ট্রিসিটি রেগুলেটরি কমিশন
বিকল্প শক্তি ভবন
ব্লক ই পি, জে ১/১০, সেক্টর - ৫
ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স
সল্ট লেক, কলকাতা – ৯১
ফোন – ২৩৫৭-২৪১৬
ফ্যাক্স – ২৩৫৭-২৪১৫
পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী ট্যারিফ বা বিদ্যুতের দাম নিয়ন্ত্রণের সম্পূর্ণ দায়িত্ব বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থার। বিদ্যুতের দাম সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ থাকলে তা নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে লিখিত ভাবে জানাতে হয়। সংস্থা প্রতি বছর আলাদা করে প্রতিটি কোম্পানির আয়-ব্যয় খতিয়ে দেখে সংবহন ও বণ্টনের জন্য প্রতিটি কোম্পানির ক্ষেত্রে আলাদা করে বিদ্যুতের দাম ধার্য করে থাকে। জ্বালানি খরচ বাড়লে কোম্পানিগুলি তৎক্ষণাৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছেই এ ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফের দামের পুনর্বিন্যাস করতে পারে। প্রয়োজনে বণ্টন বা সংবহন কোম্পানিগুলিকে বিদ্যুতের বিলের সঙ্গে কিস্তিতে বকেয়া দাম নেওয়ার অনুমোদনও দিতে পারে।
সূত্র : যোজনা, মে ২০১৪
সর্বশেষ সংশোধন করা : 5/27/2020