বিদ্যুতের যথাযথ ব্যবহারকেই এনার্জি এফিসিয়েন্সি বলে। অর্থাৎ বিদ্যুৎ সাশ্রয়কারী বৈদুতিন উপকরণের ব্যবহারকে এনার্জি এফিসিয়েন্সি বলা যায়। উপভোক্তা যত বেশি সাশ্রয়কারী বৈদ্যুতিন উপকরণ ব্যবহার করবেন তত বেশি বিদ্যুৎ বাঁচানো সম্ভব হবে। আর ততটাই কম কার্বন এমিশন হবে। ১ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি থার্মাল পাওয়ার প্লান্ট ইউনিট বানাতে খরচ হয় প্রায় ৬ কোটি টাকার মতো। সেখান থেকে ওই বিদ্যুৎ গ্রাহকের ঘরে পৌঁছে দিতে আরও ৩ কোটি টাকা খরচ হয়। গ্রাহকের ঘরে ১ ইউনিট বিদ্যুৎ বাঁচলে প্রায় ২.৫ ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হয় না। কারণ গ্রাহকের কাছে প্রতি ১ ইউনিট বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার জন্য পাওয়ার প্লান্টে ২.৫ ইউনিট বিদ্যুৎ তৈরি করতে হয়। কেন না তারের মধ্যে দিয়ে সাপ্লাই করতে গিয়ে অনেকটা বিদ্যুৎই নষ্ট হয়ে যায়। ২০০২ সালের ১ মার্চ ব্যুরো অফ এনার্জি এফিসিয়েন্সি তৈরি হয়। বিইই-র মূল উদ্দেশ্য হল বিভিন্ন নিয়মনীতি বানানো যাতে উপভোক্তারা স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে বিদ্যুতের যথাযথ ব্যবহার করতে উৎসাহিত হন। বিদ্যুৎ সাশ্রয়কারী বৈদ্যুতিক উপকরণ কেনার সময় উপভোক্তার যাতে চিনতে কোনও অসুবিধা না হয় তার জন্য বিইই স্টার লেবেলের ব্যবস্থা করেছে। সমস্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয়কারী বৈদ্যুতিক উপকরণে স্টার লেবেলের ব্যবহার কিন্তু এখনও বাধ্যতামূলক করা হয়নি। যদিও ফ্রস্ট ফ্রি রেফ্রিজারেটর, টিউব (টিএফএল), এসি, ট্রান্সফরমার, সিলিং ফ্যান, টিভি, কম্পিউটার, পাম্প সেট প্রভৃতিতে স্টার লেবেল দেখতে পাওয়া যায়। বৈদ্যুতিক উপকরণে যত বেশি স্টার থাকবে তত বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। বিজ্ঞাপনেও স্টার লেবেলের বিস্তারিত তথ্য দেওয়া শুরু হয়েছে। এর ফলে ক্রেতা ভালো ভাবে বুঝতে পারেন তিনি যে উপকরণটি কিনতে চলেছেন তার মাধ্যমে কতটা বিদ্যুৎ সঞ্চয় করা সম্ভব। শুধু তা-ই নয়, মাসে ক’ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হতে পারে তার একটা আগাম অনুমানও কোম্পানিগুলি তাদের নথিতে দেওয়ার চেষ্টা করে।
সূত্র :যোজনা, মে ২০১৪
সর্বশেষ সংশোধন করা : 11/14/2019