এর মূল উপাদান হল হাইড্রোকার্বন যা দাহ্য এবং যা পোড়ার সময় তাপ ও শক্তি উৎপাদন করে। জৈবগ্যাস জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন হয় যেখানে কয়েক ধরনের ব্যাক্টেরিয়া জৈববর্জ্যকে কার্যকর জৈবগ্যাসে রূপান্তরিত করে। যে হেতু কার্যকর গ্যাসটি জৈব প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন হয় তাই একে জৈবগ্যাস বলা হয়। জৈবগ্যাসের প্রধান উপাদান হল মিথেন গ্যাস।
জৈবগ্যাস উৎপাদন পদ্ধতি অবাত এবং দু’টি ধাপে তা সম্পন্ন হয়। এই দু’টি ধাপকে যথাক্রমে অ্যাসিড তৈরির ধাপ ও মিথেন তৈরির ধাপ হিসাবে বর্ণনা করা হয়। অ্যাসিড তৈরির ধাপে গোবরে উপস্থিত এক ধরনের অ্যাসিড সৃষ্টিকারী ব্যাক্টেরিয়ার দল বর্জ্যপদার্থে উপস্থিত বায়ো ডিগ্রেডেবল বাঁ প্রকৃতিতে স্বাভাবিক ভাবে মিশে যাওয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন জটিল জৈবযৌগগুলির উপর কাজ করে। যে হেতু এই পর্বে জৈব অ্যাসিড উৎপন্ন হয় তাই একে অ্যাসিড তৈরির ধাপ হিসাবে অভিহিত করা হয়। দ্বিতীয় পর্বে মিথেন উৎপাদনকারী ব্যাক্টেরিয়ার দল অর্গানিক অ্যাসিডের উপর ক্রিয়া করে মিথেন গ্যাস উৎপাদন করে।
জৈবগ্যাস প্লান্টের ক্ষেত্রে গবাদি পশুর গোবরকেই মুখ্য কাঁচামাল। কিন্তু অন্য উপকরণ যেমন মানুষের মল, পোলট্রির বর্জ্য, কৃষিজাত বর্জ্যও কাঁচামাল হিসাবে ব্যবহার করা হয়।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/29/2020