প্লান্ট নির্মাণের সময় বিবেচনার বিষয়
স্থান নির্বাচন
জৈবগ্যাস প্লান্টের জন্য জায়গা নির্বাচনের সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলি খেয়াল করা প্রয়োজন ---
- জমিটি সমান হতে হবে। যাতে জল না জমে তার জন্য আশেপাশের জমি থেকে খানিকটা উঁচু হতে হবে।
- মাটি আলগা হলে চলবে না। যাতে প্রতি বর্গসেমিতে ২ কেজি ভার বহন করতে পারে সেই রকম মাটি হতে হবে।
- যেখানে গ্যাস ব্যবহার করা হবে (যথা বাড়ি, খামার ইত্যাদি) তার কাছাকাছি জায়গা বাছতে হবে।
- গোয়াল বা পশুশালার কাছাকাছি হতে হবে যাতে সহজে কাঁচামাল বহন করা যায়।
- জলস্তর খুব একটা উঁচু হওয়া চলবে না।
- প্লান্টে যথেষ্ট পরিমাণ জল সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। দিনের বেশির ভাগ সময়ে প্লান্টটি যাতে পরিষ্কার সূর্যালোক পায় তার ব্যবস্থা করতে হবে।
- প্লান্টের জায়গাটিতে বায়ু চলাচলের ভালো ব্যবস্থা রাখতে হবে।
- যে কোনও দেওয়াল বা ভিতের থেকে প্লান্টের দূরত্ব অন্তত ১.৫ মিটার রাখতে হবে।
- যাতে গাছের মূল প্লান্টের কোনও ক্ষতি না করে সেই কারণে গাছ থেকে দূরে প্লান্ট বসানোই বাঞ্ছনীয়।
- পানীয় জল হিসাবে ব্যবহার করা হয় জলের এ রকম উৎস থেকে কমপক্ষে ১৫ মিটার দূরে প্লান্ট স্থাপন করতে হবে।
কাঁচামালের সহজলভ্যতা
কতটা কাঁচামাল পাওয়া যাবে তার উপর নির্ভর করে জৈবগ্যাস প্লান্টের মাপ স্থির করতে হয়। সাধারণ ভাবে বলা হয়, একটি গবাদি পশু থেকে দিনে গড়ে ১০ কেজি গোবর পাওয়া যায়। ধরা যাক, ১ কেজি টাটকা গোবর থেকে গড়পড়তা গ্যাস পাওয়া যায় ৪০ লিটার। ৩ ঘনমিটার জৈবগ্যাস উৎপাদনের জন্য মোট গোবর প্রয়োজন ৩/০.০৪ = ৭৫ কেজি। ওই পরিমাণ গোবর পেতে গেলে অন্তত চারটি গবাদি পশুর প্রয়োজন রয়েছে।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/19/2020
0 রেটিং / মূল্যাঙ্কন এবং 0 মন্তব্য
তারকাগুলির ওপর ঘোরান এবং তারপর মূল্যাঙ্কন করতে ক্লিক করুন.
© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.