কাঠকয়লা তৈরির বিভিন্ন ধাপ

• ক) চুল্লির নকশা
• বাইরের ড্রাম --- ধাতুনির্মিত ২০০ লিটারের তেলের ড্রাম যার উপরটি কাটা এবং তলার দিকে ১২ ইঞ্চি চওড়া ও ১০ ইঞ্চি উচ্চতা বিশিষ্ট একটি গর্ত করা।
• ধাতুর ড্রামটির একেবারে তলায় দু’টি আট ইঞ্চি লোহার শিক বসাতে হবে। যেগুলি এক দিক থেকে আর এক দিকে সমান্তরাল ভাবে বেরিয়ে থাকবে। লোহার শিকদু’টি স্টেইনলেস স্টিলের তৈরি ভিতরের ড্রামটিকে ধরে রাখবে।
• ভিতরের ড্রাম --- ঠিকঠাক ঢাকনা সমেত একটি একশো লিটারের স্টেইনলেস স্টিলের ড্রাম যার তলায় একটি ৩/৮ ইঞ্চি ৬টি ফুটো রয়েছে।
• ভিতরের ড্রামটিকে বাইরের ড্রামের ভিতর বসাতে হবে।
• খ) জৈবভর পোড়ানো
• জৈবভর ভিতরের ড্রামের মধ্য‌ে ঠেসে ঠেসে ভরতে হবে। এবং ৪৫ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা তা পোড়াতে হবে। (কী ধরনের জৈবভর ব্যবহার করা হচ্ছে তার উপর পোড়ানোর সময় নির্ভর করছে।)
• পোড়ানোর পর অঙ্গার তথা কার্বনে পরিণত হওয়া জৈবভরকে ভিতরের ড্রাম থেকে বের করে ওজন নিতে হবে। এই পদ্ধতিতে অঙ্গারে পরিণত হওয়া কাঠকয়লার ৩০ শতাংশ পাওয়া যায়।

৩) আঠা নির্মাণ

ব্রিকেটটি শক্তপোক্ত করতে আঠা ব্য‌বহার করা হয়। ১০০ কেজি কার্বণে পরিণত হওয়া কাঠকয়লা পাউডারের জন্য‌ ৫ থেকে ৬ কেজি স্টার্চ বা কাসাভার গুঁড়ো ৬০ থেকে ১০০ লিটার জলের সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হয় (এই পরিমাণ কাঁচামালের ওজনের উপর নির্ভর করে।

৪) মিশ্রণ

এমন ভাবে মেশান যাতে কার্বনে পরিণত হওয়া পদার্থের প্রতিটি কণা আঠার সঙ্গে মিশে যায়। এর ফলে একই মাপের গুল বা ব্রিকেট তৈরি করা সম্ভব হয়।

৫) ব্রিকেট করা

হাত দিয়ে বা যন্ত্রের সাহায্য‌ে কাঠকয়লার মিশ্রণকে ব্রিকেটে পরিণত করা হয়। একই মাপের গুল তৈরি করার জন্য মিশ্রণটিকে সরাসরি ব্রিকেটের ছাঁচের মধ্য‌ে ঢেলে দিতে হবে।

৬) শুকোনো এবং প্য‌াক করা

ব্রিকেটগুলি ট্রেতে রেখে রোদে শুকোতে দিতে হবে। তার পর একটি প্লাস্টিকের প্য‌াকেটে পুরে সিল করুন।