দেরাদুনের ইউনিভার্সিটি অফ পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড এনার্জি স্টাডিজ-এর ক্যাম্পাস ‘নেট জিরো ওয়েস্ট জেনারেশন’ নকশায় নির্মিত। একটি সুপরিকল্পিত ও সুব্যবস্থিত শৃঙ্খলাবদ্ধ বর্জ্য পরিচালন ব্যবস্থাই এই নকশার মূল কথা। ক্যাম্পাসের মধ্যেই নিষ্কাশনযোগ্য অপরিশুদ্ধ জল পরিশুদ্ধ করার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট রয়েছে যেটি ‘অ্যাক্টিভেটেড স্লাজ’ পদ্ধতি দ্বারা পরিচালিত। ক্যাম্পাসের সমস্ত অপরিশুদ্ধ জল মূল সুয়েজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট বা এসটিপিতে আনা হয়। ক্যাম্পাসে একটি বায়ো ডাইজেস্টরও। এই বায়ো ডাইজেস্টর সমস্ত জৈব বর্জ্য পদার্থকে বিশ্লিষ্ট করে। বায়ো ডাইজেস্টর জৈব বর্জ্য থেকে স্লারি তৈরি করে এবং এসটিপি শোধিত জল ও স্লারি ছাড়ে। এই জল সেচের কাজে ব্যবহার করা যায়। দু’টি জায়গা থেকে যে স্লারি পাওয়া যায় তা শুকিয়ে জৈব সার হিসাবে ব্যবহার করা যায়। অতিরিক্ত জৈব সার প্যাকেটে করে বাজারে বিক্রি করারও ব্যবস্থা রয়েছে।
‘গৃহ’ অডিটররা হিসাব করে দেখেছেন, ‘গৃহ’ মাপকাঠির তুলনায় এখানে ৪২.৭৩ শতাংশ কম শক্তি ব্যবহার করা হয় এবং জলের ব্যবহারও হয় ৩৩.১৬ শতাংশ কম। ‘গৃহ’ মাপকাঠির অডিটরদের বক্তব্য, বাড়িটিতে যে নকশা প্রয়োগ করা হয়েছে তার ফলেই এতটা শক্তি বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে। এটি গৃহ অডিটে চার তারা মর্যাদা পেয়েছে।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 12/5/2019