এটি একটি ‘নেট জিরো’ বিল্ডিং। এই ভবনের কাঠামো এমন যে শক্তি ব্যবহারের নিরিখে এর হিসাব ‘নেট জিরো’। এর মানে হল বছরে এই ভবনে যে পরিমাণ শক্তি ব্যবহার করা হয়, তার প্রায় সমপরিমাণ পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি এর চত্বরে উৎপাদন হয়। শক্তি সংরক্ষণ উপযোগী ‘চিলড বিম’ শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার মাধ্যমে শক্তির ব্যবহার ৪০ শতাংশ কমানো সম্ভব হয়েছে। এটি একটি অভিনব শীতাতপ শীতাতপ নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থা বলে এক সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। সাধারণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় ডিফিউজারের মাধ্যমে বাতাস পাঠানো হয় এবং পাইপের মধ্যে দিয়ে ঠান্ডা জল ডিফিউজার পয়েন্টে পাঠানো হয়। এখানে পরিচলন ব্যবস্থার মাধ্যমে তাপ নিয়ন্ত্রণ করা হয়। পূর্ব-পশ্চিম অভিমুখী বাড়ি বানানোয় বায়ু চলাচল অনেক বেশি হয়। একটি বড় উঠোনের চার দিকে করিডোর দ্বারা সংযুক্ত বাড়ির ব্লকগুলি নির্মাণ করা হয়েছে। এর ফলে শক্তি সংরক্ষণের জন্য ৭৫ শতাংশ স্বাভাবিক দিনের আলো ব্যবহার করা যায়। পিক আওয়ারে এই বাড়িটিতে ৯৩০ কিলোওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। ভারতের বহুতল বাড়িগুলির মধ্যে এই বাড়িরই ছাদে সবচেয়ে বড় সোলার প্যানেল ব্যবহার করা হয়েছে। বাড়ির নির্মাণ সামগ্রীতেও পরিবেশ-বান্ধব উপাদান কাজে লাগানো হয়েছে, যেমন ফ্লাই অ্যাশের ইট, স্থানীয় নির্মাণ সামগ্রী, পুনর্ব্যবহার করা যায় এমন উপাদান, টেরেসে উচ্চ প্রতিফলনযোগ্য টাইলস এবং বাইরের দেওয়ালে ‘রক উল ইনসুলেশন’।
কম চাপে জল সরবরাহ সরঞ্জামের মাধ্যমে জলের ব্যবহারও কমানো সম্ভব হয়েছে। সুয়েজ ট্রিটমেন্ট প্লান্টের মাধ্যমে বর্জ্য অপরিশুদ্ধ জল শোধন করার ব্যবস্থা রয়েছে। বাড়ির চার দিকে কম জল লাগে এমন গাছ লাগানো হয়েছে। এইচভিএসির জন্য ‘জিওথারমাল কুলিং’ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। ‘রেন ওয়াটার হারভেস্টিং’-এর ব্যবস্থা রয়েছে। বাড়ির নকশায় এই পরিবর্তনের জন্য ৬৭.৩ শতাংশ শক্তি সংরক্ষণ সম্ভব হচ্ছে। এই বাড়িটি ‘গৃহ’ মাপকাঠিতে পাঁচ তারার মর্যাদা পেয়েছ।
উৎস : পোর্টাল কন্টেন্ট দল
সর্বশেষ সংশোধন করা : 11/12/2019