এই ভবনে ব্যবহার করা হয়েছে সোলার প্যাসিভ ডিজাইন। একেবারে নতুন এবং ভবিষ্যতের প্রযুক্তিদ্বারা নির্মিত এই বাড়িটি শক্তি বাঁচানোর ক্ষেত্রে গোটা দেশের মধ্যে একটি অভিনব প্রয়াস। বাড়িটিতে ৪২.৫ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন অন্তর্নিহিত ফটোভোলাটাইক পদ্ধতি সমৃদ্ধ সোলার প্যাসিভ ডিজাইন টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়েছে। এই বাড়িটিতে সোলার চিমনিও ব্যবহার করা হয়েছে। নিষ্ক্রিয় সৌরশক্তিতে বাতাস গরম হয়ে যে পরিচলন স্রোত সৃষ্টি করে তা ব্যবহার করে বাড়ির স্বাভাবিক বায়ু চলাচল ব্যবস্থার উন্নতি ঘটানোরই একটি উপায় হল সোলার চিমনি। ঠান্ডা বায়ু দিয়ে বাড়ির উঠোনে কুয়াশা তৈরি করা হয়। পরে সেই কুয়াশা বা ঘন ঠান্ডা বাতাসের আস্তরণ সোলার চিমনির মাধ্যমে গোটা বাড়িতে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে ভিতরের বায়ুর আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৬০-৭৫ শতাংশের মধ্যে থাকে। এর সঙ্গে বাস্পীভূত ঠান্ডা করার ব্যবস্থা, ফাঁপা দেওয়াল, ফ্লাই অ্যাশ দ্বারা নির্মিত ইটের ব্যবহার কোনও রকম শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্রের ব্যবহার ছাড়াই বাড়ির ভিতরের তাপমাত্রাকে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি রেখে দেয়। ‘গৃহ’ মাপকাঠির নিরিখে এই বাড়িতে শক্তির ব্যবহার ৬১ শতাংশ কমানো সম্ভব হয়েছে। সাধারণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাড়িতে বছরে প্রতি বর্গমিটারে ২০০ কিলোওয়াটআওয়ার শক্তি খরচ হয়। সেখানে এই বাড়িতে শক্তি খরচ হয় বছরে প্রতি বর্গমিটারে ৩০ কিলোওয়াটআওয়ার। ‘গৃহ’ মাপকাঠি অনুযায়ী এই বাড়িটি পাঁচ তারা মর্যাদা পেয়েছ।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 5/27/2020