পুনের সুজলন এনার্জি লিমিটেডের সুজলন ওয়ান আর্থ ১০০ শতাংশ পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ব্যবহার করা ক্যাম্পাস। এখানে চত্বরের বাইরের ও ভিতরের শক্তি উৎস ব্যবহার করা হয়েছে। এখানে চত্বরের বাইরের ও ভিতরের শক্তি উৎস ব্যবহার করা হয়েছে। এর মধ্যে সৌরশক্তি ও বায়ুশক্তি দু’টোই রয়েছে। এর মধ্যে ৭ শতাংশ শক্তি আসে চত্বরের মধ্যস্থ ১৮ টি হাইব্রিড উইন্ড টারবাইন, সোলার প্যানেল ও ফোটোভোলাটাইক সেল থেকে। বাকি ৯৩ শতাংশ শক্তি পাওয়া যায় চত্বরের বাইরের উইন্ড টারবাইন থেকে। এই বাড়িটিতে ১৫৪.৮৩ কিলোওয়াট পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ব্যবহৃত হয়েছে। বাইরের আলোর ১০০ শতাংশ ও যোগাযোগ সার্ভারের বিদ্যুৎ পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি থেকেই আসে। ক্যাম্পাসের বাড়িগুলি এমন ভাবে বানানো হয়েছে যে, এগুলো বেশির ভাগই উত্তর, দক্ষিণ, উত্তর - পশ্চিম এবং দক্ষিণ - পূর্ব মুখী। এর ফলে পর্যাপ্ত দিনের আলো পাওয়া যায়, অথচ আলোর ঝলসানি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ‘লুভর’ ব্যবহার করে প্রথম ও দ্বিতীয় তল থেকে সূর্যের তাপ বিকিরণজনিত ঝলকানি আটকানো সম্ভব হয়েছে। উপযুক্ত বিল্ডিং এনভেলপ বা বহিরঙ্গের আচ্ছাদন এবং উচ্চস্তরের যান্ত্রিক ব্যবস্থার মাধ্যমে বাড়ির শক্তি ব্যবহারের পরিমাণ অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। এই বাড়িকে বলা হয়, ‘নেট জিরো এনার্জি ফর লাইটিং বিল্ডিং’। শক্তির প্রয়োজনীয়তা মেটে নিজেদেরই শক্তি উৎপাদনের মাধ্যমে।
এইচভিএসি-র নকশাটিও উদ্ভাবন করা হয়েছে শক্তি বাঁচানোর বিভিন্ন সরঞ্জাম ব্যবহার করে। যার মধ্যে রয়েছে তাজা হাওয়াকে ঠান্ডা করার ব্যবস্থা, তাপ পুনর্সংস্থাপন / বিনিময় ব্যবস্থা যার মাধ্যমে শক্তির সার্বিক ব্যবহার কমে। নকশার মধ্যে ফটোভোলাটাইক পদ্ধতি ও মাইক্রো - উইন্ড টারবাইনও যুক্ত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে সুজলন ওয়ান আর্থ নতুন ও উদ্ভাবনী সম্ভাবনা - সমৃদ্ধ নকশার মাধ্যমে ‘গৃহ’ মাপকাঠির চেয়েও শক্তির ব্যবহার ৪৭.২ শতাংশ কমাতে সক্ষম হয়েছে। এই প্রকল্পটি ‘গৃহ’ মাপকাঠিতে পাঁচ তারা রেটিং পেয়েছ।
উৎস : পোর্টাল কন্টেন্ট দল
সর্বশেষ সংশোধন করা : 5/1/2020