গ্রামের বাইরে একটা জায়গা তারা চিহ্নিত করল যেখান থেকে বাড়ি তৈরি ও রাস্তা তৈরির জন্য মাটি খোঁড়া যাবে। সেই খোঁড়া গর্তই ধীরে ধীরে বড় পুকুর হয়ে উঠল যেখানে ভূগর্ভস্থ জলের অ্যাকুইফার ও পরিত্যক্ত হ্যান্ডপাম্পগুলিকে রিচার্জ করা যাবে। গ্রামে জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতর একটি ডাইক-কাম-বোল্ডার বাঁধ তৈরি করল এবং অন্যান্য গ্রামের নালাগুলিতে তারা জল আটকানোর মতো ‘চেক ড্যাম’-ও বানাল। চেক ড্যামগুলির উপরের দিকে অবস্থিত হ্যান্ডপাম্পগুলিকে জল দিয়ে রিচার্জ করার জন্য প্রয়োজনীয় জল সেখান থেকেই পাওয়া যেতে লাগল। ভিডবলুএসসি গ্রামের ৭৫টি বাড়ি, স্কুল এবং অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রের ছাদে জল সংরক্ষণের কাঠামো তৈরি করল। বালি ও নুড়ি দিয়ে তৈরি পিটে ঢোকানো হল ছাদ থেকে আনা প্লাস্টিক ড্রেন পাইপ।
এ ব্যাপারে ‘পরহিত’ নামে স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা প্রতিটি বাড়ি ধরে পাঁচশো টাকা করে সাহায্য দিল। বাকি খরচের ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা উপকৃতরা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে দিয়ে দিল।
হামিরপুর গ্রামে জলের জন্য অভিযান শুরু হয়েছিল যাতে প্রতিটি পরিবার ন্যূনতম পরিষ্কার নিরাপদ পানীয় জল পেতে পারে। কিন্তু সুসংহত জল ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি প্রয়োগ করে তারা যথেষ্ট পরিমাণ জলের ব্যবস্থা করে ফেলেছে। বৃষ্টির জল ধরে রাখার জন্য তারা একটি বড়সড় কাঠামোও নির্মাণ করেছে। এই অভিনব নিরীক্ষা বেশ ভালোই লাভজনক হিসাবে প্রতিপন্ন হয়েছে।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 4/24/2020