জম্মু ও কাশ্মীর বিদ্যুৎ উন্নয়ন সংস্থার (জেকেইডিএ) জেলা কর্মকর্তা গুলাম মোহাম্মদ মালিক খবরকে বলেছেন, সৌরশক্তির প্যানেলগুলো হাসপাতালে প্রায় ২৫ ঘণ্টার সংরক্ষিত বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রদান করে থাকে।
“শীতকালে তাপমাত্রা কম থাকার কারণে, সৌরশক্তির প্যানেলগুলো দশ থেকে বারো ঘণ্টার সংরক্ষিত বিদ্যুৎ সরবরাহ দিতে পারে,”। তিনি আরও বলেন, “৪,৩০০,০০০ টাকা (৭০,০৪৫ ডলার) খরচ করে স্থাপন করা সৌরশক্তি প্ল্যান্টের ড্রাই ব্যাটারিগুলো প্রতি পাঁচ থেকে ছয় বছর পর পর বদলানোর প্রয়োজন হয়”।
কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিলে, কাশ্মীরের স্বাস্থ্য সেবা এই ধরনের আরও প্লান্ট স্থাপন করার পরিকল্পনা করছে, বিশেষ করে দুর্গম হাসপাতালগুলোতে যেখানে নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ নেই, খবরকে বলেছেন এই সংস্থার পরিচালক সেলিম-ইউ-রেহমান৷
“উত্তর কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী শহর গুরেজ, মাচিল ও তাংডারেও এই সুবিধা দেওয়া হবে, ” বলেছেন রেহমান। “এই ধরনের দূরবর্তী এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বেশির ভাগ সময়েই অনিয়মিত হয়ে থাকে এবং সেখানে আরও ভালো স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে সৌরশক্তি উপকারী হিসেবে প্রমাণিত হবে”।
শ্রীনগর থেকে প্রায় ১১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সীমান্তবর্তী কূপওয়ারা জেলার বাসিন্দারাও হাসপাতালে সৌরশক্তি কর্মসূচি থেকে লাভবান হয়েছে।
“উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, অপারেশন থিয়েটারগুলো সার্বক্ষণিকভাবে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত থাকে এবং সঙ্কটপূর্ণ রোগীদের অস্ত্রোপচার তাৎক্ষণিকভাবে সম্পন্ন করা হয়, যা আগে সম্ভব ছিল না, ” বলেছেন এক জন দোকানদার ও স্থানীয় বাসিন্দা নিসার আহমদ শাহ।
ভূস্বর্গ কাশ্মীর রোদে ঝলমল করছে—বিজ্ঞাপন হিসাবে খুবই ভাল। কিন্তু বাস্তবে কাশ্মীরে,বিশেষত শ্রীনগর বা সন্নিহিত উঁচু এলাকাগুলিতে বছরে ক’দিন ঝলমলে রোদ পাওয়া যায় তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। ফলে সৌরশক্তি থেকে প্রতিটি বাড়িতে বিদু্যৎ পাওয়ার ক্ষেত্রে খরচে না পোষানোর সম্ভাবনাই বেশি। সে ক্ষেত্রে সংগঠিত ভাবে সরকারি উদ্যোগ ছাড়া বিকল্প শক্তি অর্জনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করা ছাড়া উপায় নেই। এই কাজ করতে জম্মু ও কাশ্মীর সরকার বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নিয়েছে।
সূত্র : খবর দক্ষিণ এশিয়া ওয়েবসাইট, আমিন মাসুদির প্রবন্ধ, ৪ নভেম্বর ২০১৪
সর্বশেষ সংশোধন করা : 7/7/2020