পরিবেশগত সুবিধার পাশাপাশি এই কেন্দ্র থেকে অর্থনৈতিক ফায়দার বিষয়টিও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রকল্পের অঙ্গ হিসাবে গোষ্ঠীভিত্তিক ৫১টি বায়োগ্যাস বা গোবর গ্যাস প্লান্ট তৈরি হয়েছে। যার সাহায্যে ১৭৫টি বাড়ি রান্নার জন্য পরিবেশদূষণ মুক্ত জ্বালানি পাচ্ছে। এই বায়োগ্যাস প্লান্টগুলো যারা দেখভাল করেন, তাঁদের কাছ থেকে জানা গেছে, এর জন্য এই পরিবারগুলোর জ্বালানি বাবদ খরচ মোটেই বাড়েনি।
গ্রামে সেচের জন্য ১৩০টি নলকূপ বসানো হয়েছে। এবং এই নলকূপগুলো চলে গ্রামেই উৎপাদিত বিদ্যুতে। এক একটি নলকূপ পাঁচটি করে পরিবারের সেচের প্রয়োজন মেটায়। প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক আধিকারিক জানালেন, এর ফলে কাবিগেরে গ্রামের পরিবারপিছু আয় ২০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। তাঁর কথায়, “বিদ্যুৎকেন্দ্রে স্থানীয় লোকজনকেই নিয়োগ করা হয়েছে। এর জন্য এঁদের বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনিস্টিউট অফ সায়েন্সেসে নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এর ফলে গ্রামে দক্ষ শ্রমিকের সংখ্যাও বেড়েছে। বেড়েছে কাজের সুযোগ।”
প্রান্তিক মহিলাদের পরিচালিত ৮১টি স্বনির্ভর গোষ্ঠী যে ছোট ছোট নার্শারি চালায় তার জৈববর্জ্য থেকে বায়োগ্যাস প্লান্টগুলোর জ্বালানি পাওয়া যায়। এর ফলে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর আয়ও বেড়েছে। এক দিকে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ব্যবহার করে গ্রামের বিদ্যুতের চাহিদা মেটানো হচ্ছে আর অন্য দিকে উন্নত হয়েছে রান্নার ব্যবস্থা ও সেচের পদ্ধতি। কাবিগেরে বোঝাচ্ছে, পরিবেশ-বান্ধব স্বপ্রতিপালক উন্নয়নের সম্ভাবনা কতটা।
সূত্র : UNDP
সর্বশেষ সংশোধন করা : 1/28/2020