এ দিকে এ বছর খারাপ আবহাওয়ার কারণে সোলার টানেল থেকে কতটা বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা যাবে, তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। কারণ গত জুলাই মাসে বেলজিয়ামে মোট ২০ দিন বৃষ্টি হয়েছে। আর আগস্টের প্রথম ১২ দিনের মধ্যে আট দিনই ছিল বৃষ্টিভেজা।
কিন্তু ইনফিনিটির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইয়ুর্গেন ফন ডামে বলেন, তাঁরা যখন প্রকল্প নিয়ে ভাবনা শুরু করেন তখন তাঁদের মাথায় খারাপ আবহাওয়ার বিষয়টিও ছিল। সেটা ধরে নিয়েই তাঁরা কাজ শুরু করেছিলেন। সুতরাং এই বিষয়টা নিয়ে তিনি চিন্তিত নন। প্রতি বছর ৯০০ ঘণ্টা সূর্য পাওয়া যাবে এমন আশা করছেন ডামে।
বেলজিয়ামের লোকজনও সোলার টানেল প্রকল্পকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছে। তাঁদের এক জন এলস ক্রোলস বলেন, “আমাদের বাড়িতে সৌর প্যানেল আছে। তাই আমি জানি বিষয়টা কী এবং কতটা সাশ্রয়ী। আমি মনে করি এটা একটা সুন্দর পদক্ষেপ”।
ইনফিনিটির কর্মকর্তারা বলছেন, নবীকরণযোগ্য জ্বালানিগুলোর মধ্যে সৌরশক্তি সব দিক দিয়ে ভালো। কেননা বায়ুশক্তি প্রকল্প বাস্তবায়নে বিক্ষোভের মুখে পড়ার সম্ভাবনা থাকলেও সৌরশক্তির ক্ষেত্রে সেটা হওয়ার সম্ভাবনা কম। যেমন সোলার টানেলের ছাদে যে সৌর প্যানেল বসানো হয়েছে সেটা কারও কোনও ক্ষতি করছে না বা আর্থিক ভাবে মূল্যবান কোনও জায়গাও দখল করছে না। তা ছাড়া দেখাচ্ছেও ভালো। সৌর প্যানেল থেকে কোনও শব্দও নির্গত হয় না।
সৌর প্যানেল বসাতে সময়ও লাগে কম। ফলে পরিকল্পনা শুরুর কিছু দিনের মধ্যেই সেটার বাস্তবায়ন সম্ভব। যেমন সোলার টানেল নির্মাণের ভাবনা শুরু হয়েছিল গত বছর। এরই মধ্যে সেটা বাস্তবায়িত হয়ে গেছে।
পুরো ইউরোপের মধ্যে এ ধরনের প্রকল্প এই প্রথম। এখন দেখা যাক সোলার টানেলে উদ্বুদ্ধ হয়ে আরও কোনও দেশ এগিয়ে আসে কিনা।
আমাদের দেশেও সাধারণ রেল প্রকল্পগুলি থেকে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পা নেওয়া হয়েছে। রেল বাজাটে ২০১৫-৬ সালের জন্য বরাদ্দও রাখা হয়েছে।
সূত্র : জাহিদুল হক, ডিডাবলু ওয়েবসাইট
সর্বশেষ সংশোধন করা : 11/30/2019