রামদাস যখন পুদুচ্চেরিতে নিজের ফলের রসের দোকান শুরু করলেন তখন তাঁর ভাবনা ছিল অত্যন্ত সদর্থক। কিন্তু অচিরেই স্বপ্নভঙ্গ হল তাঁর। ঘনঘন লোডশেডিং হওয়ায় জীবনযাপন করার মতো যথেষ্ট রোজগার করার সুযোগ হচ্ছিল না। ধীরে ধীরে তিনি খরিদ্দার হারাতে শুরু করলেন। কিন্তু তিনি তো আর ব্যবসা ছেড়ে দিতে পারেন না তার কারণ তাঁকে তাঁর পরিবার প্রতিপালন করতে হয়। হঠাৎই বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করতে করতে একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় চিন্তা তাঁর মাথায় এল। তিনি স্থির করলেন তাঁর পুদুচ্চেরির ইস্ট কোস্ট রোডের ফলের রসের দোকান চালানোর জন্য এ বার থেকে সোলার প্যানেল ব্যবহার করবেন। এই ভাবনা তাঁকে লাভের মুখ দেখাতে শুরু করেছে।
তামিলনাড়ুর ভিলুপ্পুরম জেলার রামদাস তাঁর নতুন চিন্তাকে কার্যকর করার জন্য খুব বেশি টাকা বিনিয়োগ করেননি। তাঁর রসের গাড়ির মাথায় যে সোলার প্যানেল বসানো হয়েছে তার থেকেই তাঁর রেফ্রিজারেটর, মিক্সার এবং আলোর জন্য প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ পেয়ে যান।
“গোড়ায় একটা চায়ের দোকানে আমি দৈনিক মজুরিতে কাজ করতাম। পরে ভাড়া নেওয়া জায়গায় একটা ফলের রসের দোকান খুলি এবং তার জন্য আগাম টাকা দিতে হয়। কিন্তু ঘনঘন লোডশেডিং হওয়ায় আমার কোনও লাভ হচ্ছিল না। ভাড়ার টাকা জোগাড় করতেও অসুবিধা হচ্ছিল”, বলে চলেন রামদাস।
তাঁর সমস্যার জন্য মোটেই তিনি সরকারকে দায়ী করেননি। রামদাসের বক্তব্য, “মন্ত্রী বা সরকারি অফিসারদের দোষ দিয়ে কোনও লাভ নেই। বরং আমি সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ। নচেৎ সৌরশক্তি চালিত রসের দোকান বসানো সম্ভব হত না। এই ভাবনাটাই হয়তো মাথায় আসত না। এখন আমি দৈনিক প্রায় ১৫০০ টাকা করে রোজগার করতে পারি।” স্বামীকে সাহায্য করতে করতে রামদাসের স্ত্রী পার্বতী বলে চলেন, “প্রথমে যখন লোকসান হচ্ছিল ও খুবই ভেঙে পড়ে। আমি ওকে আবার নতুন উদ্যমে শুরু করতে বলি। এখন সবকিছু ঠিকঠাক চলছে।”
সর্বশেষ সংশোধন করা : 7/30/2019