আদা মূলত গাছের শিকড়। মসলা হিসেবে আদার ব্যবহার সব খাবারকেই সুস্বাদু করে, একেবারে জিভে জল এনে দেয়। আদায় রয়েছে কিছু রোগের অসাধারণ নিরাময় ক্ষমতা।
আদার কয়েকটি উপকারিতা
- ১। মাথা ব্যথা ও উচ্চ রক্তচাপ থাকলে খেটে পারেন আদার চা। রক্তচাপ স্বাভাবিক হয়ে আসবে, মাথাব্যথারও উপশম হবে।
- ২। মাতৃত্বকালীন বমি বমি ভাব কিছুটা হলেও কমায় আদা।
- ৩। শরীরের জয়েন্টে ব্যথা হলে আদা কুচি কুচি করে খেলে আরাম পাওয়া যায়।
- ৪। শ্বেতী রোগ ? আদা বেঁটে দিনে তিন থেকে চার বার লাগান। চার থেকে বারো সপ্তাহ নিয়মিত ব্যবহারে উপকার পাবেন।
- ৫। নিয়মিত আদা খেলে অফুরান প্রাণশক্তি পাওয়া যায়। কমে যায় রোগব্যাধি।
- ৬। খাবার হজম হচ্ছে না ? পেটে গুড় গুড়, আদাজল খেয়ে নিন। আরাম পাবেন।
- ৭। অপারেশনের পর কাঁচা আদা খান, দ্রুত সেরে উঠবেন।
- ৮। সর্দি লাগলে আদা কুচি করে রুমালে নিয়ে নাকে ঝাঁজ নিন। বন্ধ নাক খুলে যাবে।
- ৯। ভ্রমণের সময় বমি ভাব এলে যদি মুখে এক টুকরো আদা দেন দেখবেন বমি ভাব উধাও।
- ১০। হজমে গোলযোগ হলে আদা কিংবা আদা চা খেতে পারেন। দ্রুত সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবেন।
- ১১। শীতকালে অনেকেরই শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। এই শ্বাসকষ্টের বিরুদ্ধে লড়াই করার অসাধারণ এক ক্ষমতা আছে আদায়। এ ছাড়া বুকে কফ জমে কিংবা ঠান্ডা লেগে যাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা দেখা দেয়, তাদের জন্য প্রাকৃতিক ওষুধ হলো আদা।
- ১২। এতে থাকা ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যামাইনো অ্যাসিড শরীরে রক্ত চলাচল বাড়ায় এবং হৃৎপিণ্ডকে কর্মক্ষম রাখে। এটি ধমনি থেকে অতিরিক্ত চর্বি সরিয়ে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমিয়ে দিতে পারে।
- ১৩। রক্ত সঞ্চালনের গতিকে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতাকেও বাড়িয়ে দিতে পারে এই মসলা। এর উপাদানগুলো পেশির কর্মদক্ষতাÿবাড়ায়। আবার ব্যথা প্রশমনেও কার্যকর।
- ১৪। অনেক কারণে আমরা মানসিক চাপ ও অস্থিরতায় ভুগে থাকি। এক গবেষণায় দেখা গেছে, আদায় থাকা কিছু উপাদান মানসিক চাপ দূর করতে সাহায্য করে।
- ১৫। মাসিকের সময় অনেকেরই তল পেট ব্যথা ও শারীরিক অস্বস্তি দেখা দিতে পারে, এ ধরনের সমস্যা এড়াতেও আদা খেয়ে দেখতে পারেন।
তথ্যসূত্র : বাংলামেল ২৪ ডট কম, স্বাস্থ্য বার্তা, প্রথম আলো এবং অন্যান্য সূত্র থেকে সংগৃহীত
সর্বশেষ সংশোধন করা : 4/22/2020
0 রেটিং / মূল্যাঙ্কন এবং 0 মন্তব্য
তারকাগুলির ওপর ঘোরান এবং তারপর মূল্যাঙ্কন করতে ক্লিক করুন.
© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.