অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

তেজপাতা

তেজপাতা

তেজপাতা সুগন্ধি মশলা। কাঁচা পাতার রঙ সবুজ আর শুকনো পাতার রঙ বাদামি। এটি শুধু মশলা হিসেবেই পরিচিত নয়, এর অনেক ঔষধি গুণও আছে। এপ্রিল থেকে মে মাসে গাছে নতুন পাতার আর্বিভাব হয়। শুধু পাতা নয়, গাছের ছালও গনোরিয়া নামে যৌনরোগ সারাতেও উপকারী।

  • ১. অনেক সময় অনেকের ঘন ঘন তেষ্টা পায়। সে ক্ষেত্রে ১ লিটার জলে তেজপাতা সেদ্ধ করে ছেঁকে নিয়ে ২-৩ বার খান। দেখবেন বার বার তেষ্টা পাচ্ছে না।
  • ২. হালকা গড়নের মানুষের জন্যে তেজপাতা খুব উপকারী। চেহারা ফিরিয়ে আনতে তেজপাতা কুচিয়ে, থেঁতো করে ২ কাপ গরম জলে ১০-১২ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে এর পর ছেঁকে নিয়ে ২ বার করে ২ সপ্তাহ খেলে শরীরে জোর আসে, লাবণ্য ফিরে আসে।
  • ৩. চর্মরোগ হলে তেজপাতা থেঁতো করে ৪ কাপ জলে সেদ্ধ করে সকাল ও বিকেলে খেতে হবে। ৪-৫ সপ্তাহ খেলেই দাদ-হাজা-চুলকানি সেরে যাবে। এ ছাড়া ওই জল তুলো ভিজিয়ে দাদের জায়গা মুছে নিলেও কাজ হয়।
  • ৪. অনেক সময় প্রস্রাবের রঙ লালচে হয়। সে ক্ষেত্রে তেজপাতা ২-৩ কাপ গরম জলে ২ ঘণ্টা ভিজিয়ে, এর পর ছেঁকে ২-৩ ঘণ্টা অন্তর অন্তর পান করলে প্রস্রাবের রঙ সাদা হয়ে যাবে।
  • ৫. জলে তেজপাতা সেদ্ধ করে সেই জল দিয়ে স্নান করলে ত্বকের অ্যালার্জি সমস্যা কমবে। গায়ের দুর্গন্ধ কাটাতে তেজপাতা চন্দনের মতো বেঁটে মাখলে উপকার হবে।
  • ৬. ফোঁড়া হলে যদি খুব যন্ত্রণা হয়, শক্ত হয়ে যায়, তবে এই অবস্থায় তেজপাতা বেঁটে ২-৩ বার প্রলেপ দিলে যন্ত্রণা কমে যাবে।
  • ৭. যাঁদের অতিরিক্ত ঘাম হয়, তাঁরা প্রতি দিন ১ বার করে তেজপাতা বাঁটা মেখে আধ ঘণ্টা থাকার পর স্নান করে নিলে বেশি ঘাম হওয়া কমে যাবে। এই ভাবে ৭ দিন করতে হবে।
  • ৮. তেজপাতা জলে সেদ্ধ করে ওই জল দিয়ে কুলকুচি করলে মুখের অরুচি কেটে যায়।
  • ৯.সর্দিতে গলা বুজে যায় অনেকেরই। সেই সময় জোরে জোরে কথা বললে বা চিত্‍কার করলে গলা ভেঙে যায়। এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে তেজপাতা থেঁতো করে ৩-৪ বার একটু করে খেলেই হবে।
  • ১০. চোখ ওঠায় ২ তেজ পাতা গরম জলে ধুয়ে নিয়ে তাকে একটু থেঁতো করে ১/৪ কাপ গরণ জলে কয়েক ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। তার পর সেই জল ছেঁকে নিয়ে চোখে দিতে হবে। এই রকম সকালে ২ বার ও বিকালে ২ বার দিলে চোখ লাল হওয়া, করকর করা, পিচুটি পড়া, জুড়ে যাওয়া এগুলি সেরে যাবে।

সূত্র: চিরঞ্জীব বনৌষধি –শিবকালী ভট্টাচার্য, হেলথ বিডি সহ অন্যান্য ওয়েবসাইট

সর্বশেষ সংশোধন করা : 12/19/2019



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate