রসুনে রয়েছে এলিসিন যা ব্রডস্পেকট্রাম যা অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। তা ছাড়া এলিসটাটিন, এলিসাটিনসহ নানা প্রকার কার্যকর উপাদান রয়েছে। যা রক্তের কোলেস্টেরল হ্রাস সহ বিভিন্ন কাজ করে থাকে। প্রথম বার হার্ট অ্যাটাকের পর রোজ কাঁচা রসুন খাওয়া রোগীরা বেশির ভাগই দ্বিতীয় অ্যাটাকে আক্রান্ত হন না বা হলেও অনেক পরে। নিয়মিত কাঁচা রসুন সেবনে মোট কোলেস্টেরলের মাত্রা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে। কাঁচা রসুন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, বিভিন্ন সংক্রমণ রোধ করে, ক্ষত দূরীকরণে সাহায্য করে, সর্দিকাশি ও প্রদাহ দূর করে। যে কোনও রসুনের একটা কোয়া পাতলা পর্দা বাদ দিয়ে ছেঁচ করে বা চিবিয়ে ভরা পেটে খেতে শুরু করুন। আস্তে আস্তে এর মাত্রা বাড়ানো যায়। তবে যাঁরা করোনারি হৃদরোগী, বিশেষ করে যাঁরা নিয়মিত অ্যাসপিরিন খান, তাঁরা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে রসুন খেতে শুরু করুন।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, একটি মাঝারি সাইজের রসুনে এক লাখ ইউনিট পেনিসিলিনের সমান অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যক্ষমতা রয়েছে। শুধু তাই নয়, ব্যাকটেরিয়া ও প্রোটোজোয়ার মাধ্যমে সৃষ্টি অ্যামিবিক ডিসেনট্রি নির্মূলের ক্ষেত্রে রসুন বেশ কার্যকরী। আধুনিক ভেষজ চিকিত্সকরাও সর্দি, কাশি, জ্বর, ফ্লু, ব্রঙ্কাইটিস, কৃমি, রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ, খাদ্য পরিপাকের সমস্যাসহ লিভার ও পিত্তথলির নানা উপসর্গ দূর করতে রসুন খাওয়ার পরামর্শ দেন। দেহের রোগ সংক্রমণ দূর করার জন্য এক সঙ্গে তিন কোয়া রসুন দিনে তিন থেকে চার বার চিবিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। রক্তের চাপ ও রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর জন্য প্রতি দিন তিন থেকে ১০ কোয়া রসুন খেতে পারেন। তা ছাড়া রসুনের জল সেবন করতে হলে ছয় কোয়া রসুন পিষে এককাপ ঠান্ডা জলে ৬ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। তার পর ভালো ভাবে ছেঁকে রসুন জল সেবন করুন।
এক নজরে রসুনের উপকারিতা ---
তথ্যসূত্র : বাংলামেল ২৪ ডট কম, স্বাস্থ্য বার্তা এবং অন্যান্য সূত্র থেকে সংগৃহীত
সর্বশেষ সংশোধন করা : 3/25/2020
প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় রসুনের ব্য...