আয়ুর্বেদিক বিজ্ঞানে ত্রিফলা নামে পরিচিত তিনটি ফলের একটি হল হরীতকী। এই ফলটি আদৌ স্বাদু নয়। তাই শুধু খাওয়া একটু কষ্টকর। স্বাদে তেঁতো হলেও এই ফলটির নানা গুণ আছে। এটি ট্যানিন, অ্যামাইনো অ্যাসিড, ফ্রুকটোজ ও বিটা সাইটোস্টেবল সমৃদ্ধ। হরীতকী দেহের অন্ত্র পরিষ্কার করে এবং একই সঙ্গে দেহের শক্তি বৃদ্ধি করে। এটা রক্তচাপ ও অন্ত্রের খিঁচুনি কমায়। হৃদপিণ্ড ও অন্ত্রের অনিয়ম দূর করে।
এই ফল রেচক, পিচ্ছিলকারক, পরজীবীনাশক, পরিবর্তনসাধক, অন্ত্রের খিঁচুনি রোধক এবং স্নায়ুবিক শক্তিবর্ধক। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য, স্নায়ুবিক দুর্বলতা, অবসাদ এবং অধিক ওজনের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
হরীতকীতে অ্যানথ্রাইকুইনোন থাকার কারণে রেচক বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে হরীতকী। অ্যালার্জি দূর করতে হরীতকী বিশেষ উপকারী। হরীতকী ফুটিয়ে খেলে সেই অ্যালার্জি কমে যায়। হরীতকী ফলের গুঁড়ো নারকেল তেলের সঙ্গে ফুটিয়ে মাথায় লাগালে চুল ভালো থাকবে। হরীতকীর গুঁড়ো জলে মিশিয়ে খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে। গলা ব্যথা বা মুখ ফুলে গেলে হরীতকী জলে ফুটিয়ে সেই জল দিয়ে গার্গল করলে আরাম পাবেন। দাঁতে ব্যথা হলে হরীতকী গুঁড়ো লাগান, ব্যথা দূর হবে।
রাতে শোয়ার আগে অল্প বিট নুনের সঙ্গে ২ গ্রাম লবঙ্গ বা দারুচিনির সঙ্গে হরীতকীর গুঁড়ো মিশিয়ে খান। পেট পরিষ্কার হবে।
হরীতকী একটি ডালপালা বহুল মাঝারি আকারের গাছ। এ গাছের কাণ্ড গোলাকার। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ভাওয়াল ও মধুপুরের গড়ে হরীতকী গাছ বেশি পাওয়া যায়। নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে হরীতকী গাছের বীজ সংগ্রহ করতে হয়।
তথ্যসূত্র : বাংলামেল ২৪ ডট কম, স্বাস্থ্য বার্তা এবং অন্যান্য সূত্র থেকে সংগৃহীত
সর্বশেষ সংশোধন করা : 5/10/2020