জৈব দস্যুতার হাত থেকে চিরায়ত জ্ঞানগুলিকে বাঁচাতে মেধাসম্পদ সংক্রান্ত দু’ ধরনের রক্ষা কবচের কথা বলা হয়। একটিকে বলা হচ্ছে ধনাত্মক সুরক্ষা, অন্যটি রক্ষণাত্মক সুরক্ষা। কোনও জ্ঞান চুরি হয়ে যাওয়ার পর তাকে উদ্ধার করার যে পথ সেগুলি ধনাত্মক সুরক্ষা আর চুরি আটকানোর যে প্রতিরোধমূলক পন্থা সেটি রক্ষণমূলক সুরক্ষা হিসেবে পরিচিত। ধনাত্মক সুরক্ষার সাহায্যে নিতে গেলে তাই সবার আগে দরকার একটি উপযুক্ত আইনি কাঠামো গড়ে তোলা। মেধাসম্পদ সুরক্ষার জন্য আইনি কাঠামো ভারতের আছে। ভারতের ১৯৭০ সালের পেটেন্ট আইনটির সুখ্যাতিও দেশ বিদেশ জুড়ে আছে। কিন্তু সেই আইনে চিরায়ত জ্ঞানের প্রতিটি শাখাকে সুরক্ষা দেওয়ার অসুবিধাও আছে। অসুবিধার কারণ চিরায়ত জ্ঞানের বিষয় বৈচিত্র। যে আইন দিয়ে ওষুধের আবিষ্কারকে সুরক্ষা দেওয়া যায় সেই একই আইন দিয়ে কোনও নৃত্য কৌশলকে সুরক্ষা দেওয়ার বাস্তবিক অসুবিধা আছে। এই অসুবিধার কারণেই ভারত রক্ষণমূলক সুরক্ষার রাস্তাটি অবলম্বনের সিদ্ধান্ত নেয়।
রক্ষণমূলক সুরক্ষার পথটি অবলম্বন করেত গেলে প্রথমেই যেটা দরকার সেটা হল একটি তথ্য ভাণ্ডার গড়ে তোলা। এই তথ্য ভাণ্ডারটিকে কাজে লাগিয়েই সে ক্ষেত্রে আটকে দেওয়া যাবে চুরি যাওয়া কোনও জ্ঞানের পেটেন্ট প্রাপ্তিকে। ২০০১ সালেই এই রকম একটি ডিজিটাল তথ্য ভাণ্ডার গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে যে কথা আমরা আগেই বলেছি, চিরায়ত জ্ঞানসমূহের মধ্যে যে হেতু সব চেয়ে মূল্যবান জৈবসম্পদ সংক্রান্ত জ্ঞান, সে হেতু এই তথ্য ভাণ্ডার কেবলমাত্র এই ধরনের জ্ঞানেরই ভাণ্ডার। আরও সুনির্দিষ্ট করে বললে এই ডিজিটাল লাইব্রেরি কেবলমাত্র ভারতের আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরির প্রক্রিয়াসমূহের একটি তথ্যভাণ্ডার মাত্র।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 4/27/2020