ভারতের প্রতিটি গ্রাম্য পরিবারের প্রাথমিক, সাধারণ স্বাস্থ্য পরিবারের মহিলাদের বিশেষ করে বয়স্ক মহিলাদের উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল। এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে প্রতি পরিবারে একটি করে ঘরোয়া ভেষজ বাগান তৈরি করা প্রয়োজন যা ভেষজ উদ্ভিদের পুনরুজ্জীবন ও স্থানীয় প্রক্রিয়ায় তার ব্যবহার সুনিশ্চিত করবে। ঘরোয়া ভেষজ বাগান আমাদের সাধারণ অসুখ-বিসুখে ভেষজের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি পরিবেশকে সুন্দর ও সুস্থ রাখতে অনেকাংশে সাহায্য করে। রোগ-ব্যাধি সারানোর সাথে সাথে এই সব ভেষজ শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও গড়ে তোলে। সাধারণ স্বাস্থ্যের জন্য প্রতি দিন এক জন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির কমপক্ষে তিনশো গ্রাম ভেষজ গুণসম্পন্ন শাক-সবজি খাওয়া উচিত।
ঘরোয়া ভেষজ বাগান তৈরির জন্য যে বিষয়গুলোর দিকে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া দরকার সেগুলো হল-
সাধারণত ঘরোয়া ভেষজ বাগানে উদ্ভিদকে পোকা মাকড়ের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার না করে ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করাই ভালো। তাই প্রয়োজনে সকালে এই সব গাছের পাতায় একটু উনুনের ছাই ছড়িয়ে দিলে পিঁপড়ে বা অন্য পোকা মাকড় ধরে না। পোকা-মাকড় ধরা গাছে বাসক পাতা অথবা বনতামাক অথবা নিম বা নিসিন্দা সিদ্ধ জলে সাবান বা রিঠা ভেজানো জল মিশিয়ে গাছে ছিটিয়ে দিয়ে রোগ-পোকা দমন করা যায়। রোগ-পোকা দমনের ক্ষেত্রে কর্পূর একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কর্পূর জলে গুলে ছড়িয়ে দিয়েও গাছের রোগ-পোকা দমন করা যায়। মটির বৈশিষ্ট্য :গাছ বসানোর সময় মাটি বৈশিষ্ট্য যাচাই করে নেওয়া ভালো। অর্থাৎ সেক্ষেত্রে দেখে নিতে হবে মাটিতে ক্ষার বা অম্লের পরিমাণ কী রয়েছে। ক্ষারধর্মী মাটির বৈশিষ্ট্য পিএইচ-৯-এর বেশি, অম্লধর্মী মাটির বৈশিষ্ট্য পিএইচ-৭-এর নীচে। ঘরোয়া ভেষজ বাগান তৈরির সময় এই বিষয়গুলি ভালো দেখে নিয়ে গাছ বসানো ভাল।
সূত্র : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সংসদ ও দফতর, পশ্চিমবঙ্গ সরকার
সর্বশেষ সংশোধন করা : 1/28/2020