ভাইরাস জনিত সাধারণ জ্বর অথবা অন্য কোন কারণে দেহের তাপমাত্রা ৯৮ ডিগ্রির অধিক, সঙ্গে গা-হাত-পা ব্যথা, মাথা যন্ত্রণা, চোখ-মুখ জ্বালা করা, মুখে বিস্বাদ এই জ্বরের লক্ষণ। অনেক সময় শরীরে ঘামও হয়। মধ্যবয়সি শিউলি পাতা, নিমপাতা ও তুলসী পাতা ছেঁচা রস, কালমেঘ পাতার ক্কাথ গোলমরিচের গুঁড়োর সঙ্গে দিনে এক চামচ করে দু’বার খেলে রোগ নিরাময় হয়। বসন্ত ঋতুর শেষে কচি নিমপাতার গুঁড়ো ভাইরাস জনিত রোগ প্রতিরোধ করে। চর্মরোগও প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
বদহজম, গলা-বুক জ্বালা করা, চোঁয়া ঢেকুর ওঠা, ক্ষুধা মন্দা সঙ্গে বমি বমি ভাব ও মাথা যন্ত্রণা এই রোগের লক্ষণ। ত্রিফলার (হরীতকী, আমলকী, বহেড়া) গুঁড়ো, পুদিনা পাতার কাইয়ের সঙ্গে বিট লবণ দিয়ে ৫ গ্রাম পরিমাণ দিনে ৩-৪ চামচ খেলে বদহজম, গলা-বুক জ্বালার সমস্যা দূর হয়।
পেটে কৃমি সাধারণ চার রকমের হয়ে থাকে। কেঁচো, সুতো, ফিতে ও চ্যাপ্টা কৃমি। পেটে কৃমি হলে পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাতলা পায়খানার সঙ্গে ক্ষুধা মন্দা ও মলদ্বার চুলকানো, ত্বকের রঙের পরিবর্তনের লক্ষণগুলি দেখা যায়। আনারস পাতার রস, নিম পাতা, কালমেঘ পাতা ও বাবলা পাতার কাই গোলমরিচের গুঁড়োর সঙ্গে ৫ গ্রাম পরিমাণ দিনে ২ বার করে কয়েক দিন খেলে পেট থেকে কেঁচো, সুতো, ফিতে ও চ্যাপ্টা কৃমি নির্গত হয়ে যায় এবং ক্ষিদে হয়।
হাঁটু ব্যথার সঙ্গে হাঁটু শোথ, তীব্র যন্ত্রণা এবং চলাফেরার অক্ষমতা এই রোগের লক্ষণ। আদা বাঁটার সঙ্গে গুলঞ্চের ক্কাথ ও কাঁচা নিসিন্দা পাতার ক্কাথ, পান পাতার রসের সঙ্গে মিশিয়ে প্রতি দিন ৫ গ্রাম পরিমাণ দিনে ২ বার খেলে এবং কাঁচা নিসিন্দা পাতা, রসুন ৫০ গ্রাম, তিল তেল ঢেলে ফুটিয়ে ঐ তেল উষ্ণ অবস্থায় হাঁটুতে মালিশ করলে সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
সূত্র : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সংসদ ও দফতর, পশ্চিমবঙ্গ সরকার
সর্বশেষ সংশোধন করা : 5/27/2020