অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

বাঁচাতে হবে বনৌষধি

বাঁচাতে হবে বনৌষধি

সাধারণ স্বাস্থ্যের স্থিতিশীলতার স্বার্থে প্রথাগত চিকিৎসার জ্ঞান ও ভাবনা, আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান ও ভাবনার সংমিশ্রণে অঞ্চলভিত্তিক সাধারণ স্বাস্থ্য‌ সমস্যার সমাধান নির্ধারণ প্রয়োজন। ভারত গ্রীষ্মপ্রধান দেশ হয়ে তার ৩২ কোটি ৯০ লক্ষ হেক্টর ভূভাগের সাড়ে ৭ কোটি হেক্টর বনভূমি নিয়ে উদ্ভিদ বৈচিত্রে বিশ্বের অন্য‌তম ধনী দেশ বলে পরিচিত। এ দেশে সনাক্তকৃত উদ্ভিদ প্রজাতির সংখ্যা ৪৫০০০ যার মধ্যে ১৭৫০০টি উদ্ভিদ প্রজাতি সপুষ্পক এবং ২৫৬১টি প্রজাতি বৃক্ষ শ্রেণির উদ্ভিদ। সর্বভারতীয় পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভেষজ ও সুগন্ধী তেলের উৎস উদ্ভিদ প্রজাতির সংখ্যা প্রায় ৮০০০। আধুনিক ঔষধ ও প্রসাধন-সামগ্রীতেও অনেক বনৌষধি ব্যবহার কর হয়। রাসায়নিক ঔষধের তুলনায় অধিকতর নিরাপদ ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন হওয়ায় উদ্ভিদজাত ভেষজ পাশ্চাত্য‌ দেশগুলিতেও ক্রমাগত জনপ্রিয় হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য‌ সংস্থার (হু) স্বীকৃতিতে জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে নতুন নতুন ওষুধের সন্ধানে প্রথাগত প্রজ্ঞা-নির্ভর ওষধি গাছপালা যেমন নয়নতারা, ট্রাকসাস, পপি, কপটিস, অগুরু প্রভৃতির মতো উদ্ভিদসমূহ অর্থনৈতিক লাভের প্রলোভনে আজ বিপন্ন। এ দেশে প্রায় পাঁচ সহস্রাধিক এই রকম উদ্ভিদ প্রজাতির অস্তিত্ব বিলুপ্তির পথে। তাই এই সব প্রথাগত প্রজ্ঞা লিপিবদ্ধ করা আশু প্রয়োজন, যা বর্তমান ও আগামী প্রজন্মের মধ্যে এ বিষয়ে জ্ঞান অর্জনে সহায়তা করবে এবং এই নথি পেটেন্ট স্বত্ব ও মেধাস্বত্ব রক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষ সহায়ক হবে। যেমন ঘটেছে ১৯৯৫ খ্রিঃ হলুদে পেটেন্ট এবং নিমের পেটেন্টের স্বত্ত্ব রক্ষার ক্ষেত্রে এবং কেরলের বানি আদিবাসীদের ট্রাইকোপাস জাইলেনিকা উদ্ভিদের ক্ষেত্রে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য‌ সংস্থার হিসাব অনুযায়ী আগামী ২০২০ সালে সারা পৃথিবীতে ভেষজ উদ্ভিদ এবং তা থেকে তৈরি ওষুধের বার্ষিক বাজার দাঁড়াবে তিন লক্ষ কোটি মার্কিন ডলার (সূত্র-‘বাংলার বনৌষধির চাষ-আবাদ – পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ভেষজ উদ্ভিদ পর্ষদ)। পৃথিবী ব্যাপী বনৌষধির এই ক্রমবর্ধমান বাণিজ্যিক চাহিদার মূল উৎস হল উন্নয়নশীল দেশগুলির বনাঞ্চল। পথে, বিপথে বনৌষধি সরবরাহ চলছে, ভারতও ব্যতিক্রম নয়। দেশের অভ্য‌ন্তরীণ চাহিদাও বাড়ছে, এদের চাহিদা মেটাতেও বনৌষধি চাই। সর্বত্র তাই অবাধে বনৌষধির সংগ্রহ এবং ক্রয়-বিক্রয় চলছে। প্রকৃতি থেকে সংগ্রহ - তাই দায়ভাগ নেই – তুললেই হল – নতুন চারা তৈরির দায়িত্ব প্রকৃতির। সংগ্রহের মাত্রা এখন বল্গাহীন, তাই প্রজাতির সংকট এখন প্রকট। সে জন্য‌ বনৌষধি বাঁচাতে আশু প্রয়োজন ভেষজ উদ্ভিদের বাণিজ্যিক চাষ-আবাদ।

সূত্র : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সংসদ ও দফতর, পশ্চিমবঙ্গ সরকার

সর্বশেষ সংশোধন করা : 7/21/2020



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate