শিশুকাল থেকে যোগাভ্যাস করলে শরীরকে নমনীয় ও কমনীয় করা যায়। রবারকে দুমড়ে মুচড়ে রাখলেও সোজা করা যায়। তেমনি শরীরকে পেশি ও নার্ভের স্থিতাবস্থার অস্থির সংযোগস্থলে মোবিলাইজিং বা লুব্রিকেটিং করা হয়। টিস্যুর লংজিবিটি ও গ্রন্থির যথাযথ ক্ষরণ বজায় রেখে লংজিবিটি বাড়ানো যায়। ফলে অধিক বয়েসও যৌবনচিতভাব পরিলক্ষিত হয়।
সঙ্কটাসন (দণ্ডায়ামান একপদ শিবাসন)
লিকাবাসন (বাংলা স্বরবর্ণ ‘৯’ এর অবলম্বনে দেহ ভঙ্গিমা)
ওঙ্কারাসন (ওঙ্কার বিগ্রহের প্রতিমূর্তি অবলম্বনে দেহাবস্থান)
কুক্কুটাসন (মোরগের ভঙ্গিমায় দেহাবস্থান)
উত্থিত পদ্মাসন (দু’ হাতের উপর ভর দিয়ে পদ্মাসনে শূ্ন্যে বসা)
বকাসন (বকের ভঙ্গিমা অনুসরণে শূন্যে উপবেশন)
কাগাসন (কাকের বসা ভঙ্গিমায় দেহ অবয়ব)
দ্বিপদ শিরাসন (দু’ পা শির বা মাথার ওপরে তুলে অবস্থান)
লিকারাসনে বৃ্শ্চিকাসন (লিকারাসনে বিছের মতো অনুকরণে দু’ পা মাথায় স্পর্শ করা)।
একপদ শিরাসন ময়ূরাসন (এক পা মাথায় তুলে ময়ূরের ভঙ্গিমায় থাকা।)
উত্থিত কূর্মাসন (দু’ পা মাথায় তুলে শূন্যে কচ্ছপের ন্যায় অবস্থান)।
কূর্মাসন (দু’ পা মাথায় তুলে কচ্ছপের ন্যায় পিঠ ভঙ্গিমা)।
ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ মহাকাব্য মহাভারতের আঙিনায় অর্জুন হলেন শ্রেষ্ঠ ক্রীড়াবিদ। তাই খেলাধূলার জন্য ভারতবর্ষে শ্রেষ্ঠ সম্মান অর্জুন পুরস্কার। তিরন্দাজ ক্রীড়া তথা লক্ষ্যভেদ করা অন্যান্য খেলাধূলোর মতো অন্যতম খেলাধূলোর অঙ্গ। যোগের অর্জুন হলেন যোগার্জুন। যোগ জগতে অন্যতম শ্রেষ্ঠ সম্মান বলা যেতে পারে। পুরাকালে তির-ধনুক, বল্লম ইত্যাদি ছিল আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার শ্রেষ্ঠ হাতিয়ার বা অস্ত্র। ভারতবর্ষ যোগের মাতৃভূমি। এখানেই যোগের উদ্ভব। আদিমকালের যোগে তির ছোঁড়ার ভঙ্গিমা অবস্থানে আকর্ণ ধনুরাসন নামকরণ হয়েছিল। মাইথোলজিক্যাল যোগের মধ্যে যোগার্জুনের অভিনব সৃষ্টির ভাবনা সংমিশ্রেণ আভিজাত্যপূর্ণ বিরল সৃষ্টি প্রকাশের প্রয়াসে তারই প্রতিবিম্ব।
সূত্র : যোগসন্দর্শন, ডা. দিব্যসুন্দর দাস
সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/26/2020
আয়ুষ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে "যোগ চর্চা করুন ঘরে থাকু...
কোন রোগে কোন খাদ্য উপকারী বা অপকারী তা উল্লেখ করা ...
এখানে যোগ-বিশেষজ্ঞ ডা. দিব্যসুন্দর দাসের মতামত, যো...
এই বিষয়টি এইচআইভি এবং এইডস সম্পর্কিত প্রাকৃতিক রো...