পদ্ধতি : আমরা শ্বাস তিন ভাবে নিতে পারি (১) নাক দিয়ে, (২) মুখ দিয়ে অবং (৩) গলা দিয়ে। শীতলা প্রাণায়াম গলা দিয়ে করতে হয়, তবে গলায় স্বা বা আ শব্দ করতে হবে। গলায় দু’টি পর্দা আছে যাকে স্বরযন্ত্র বা ভোকাল কর্ড বলে। এই ভোকাল কর্ড বা পর্দা দু’টি কাছাকাছি আসে, ফলে শ্বাসপথ সরু হয়ে যায়। এই সরু শ্বাস পথে শ্বাসপ্রশ্বাস নিলে এই স্বা বা আ শব্দ হয়। এক থেকে ছয় গুনতে যতক্ষণ সময় লাগে ততক্ষণ স্বা বা আ শব্দে শ্বাস ধীরে ধীরে এবং সহজ ভাবে নিতে হয়। এবং অনুরূপ ভাবে স্বা বা আ শব্দ করে শ্বাস ছাড়তে হয়। স্বা বা আ শব্দ হওয়ার সময় লক্ষ করতে হবে যেন কোনও ঘড় ঘড় শব্দ না হয়, অথবা থেমে থেমে শ্বাস নেওয়া না হয়।
শরীর নাড়াচাড়া বা শক্ত না করে স্বাভাবিক ভাবে রাখতে হবে। গলা দিয়ে অভ্যাস হয়ে গেলে পরে নাক দিয়ে শ্বাস নিতে হবে এবং ছাড়তে হবে। কিন্তু গলার শব্দটা অবশ্যই হওয়া চাই। শ্বাসপ্রশ্বাস নেওয়ার সময় ভোকাল কর্ডে যে ভাইব্রেশন বা কম্পন হয়, কন্ঠির হাড়ের (Adams Apple-এর নীচে) আঙুল দিলে বোঝা যাবে। শ্বাস নেওয়া ও ছাড়াকে এক বার গুনে এই ভাবে মোট ছয় বার অভ্যাস করতে হবে। এক থেকে ছয় গোনার মোট স্থিতিকালকে ছ’ মাত্রা বলে। ভালো ভাবে অভ্যাস হলে ক্রমশ বাড়িয়ে দশ মাত্রায় দশ বার, পনেরো মাত্রায় পনেরো বার অভ্যাস করা যেতে পারে। পদ্মাসনে অথবা সুখাসনে মেরুদণ্ড সোজা করে বসে এই প্রাণায়াম করতে হয়।
দ্র : অনেকে শ্বাস এই ভাবে যতক্ষণ পারেন নেন ও যতক্ষণ পারেন ছাড়েন এবং পাঁচ মিনিট পর্যন্ত অভ্যাস করেন। উপযুক্ত শিক্ষকের নির্দেশ ব্যতীত এর বেশি না করাই ভাল।
উপকারিতা : হাই ব্লাডপ্রেসার, নার্ভাস টেনশন, স্নায়বিক দুর্বলতা, অবসাদ, ক্লা্ন্তি, একটুতে রেগে যাওয়া, চঞ্চলতা, খিটখিটে মেজাজ প্রভৃতি নিবারণে এই প্রাণায়াম বিশেষ ভাবে উপকারী।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/29/2020